×

সারাদেশ

করোনায় লেবুর চাহিদা বেশি, চাষিদের মুখেও হাসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০, ০৩:৩৮ পিএম

করোনায় লেবুর চাহিদা বেশি, চাষিদের মুখেও হাসি

ফাইল ছবি

ভোলার চরফ্যাশনের চাষিদের লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন অনেক খুশি। চাষিরা লেবুর দামও পাচ্ছেন ভালো। অন্যদিকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার দক্ষিণ আইচার মাইনকা ইউনিয়ন, আমিনাবাদ ইউনিয়ন, দুলারহাট নুরাবাদ ও আহাম্মদপুর ইউনিয়নে লেবুর আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ লাখ টাকার লেবু বিক্রির আশ করছেন চাষিরা।

চর যমুনা গ্রামের বেকার যুবক বিকাশ চন্দ্র জানান, চার শতাংশ জমিতে এলাচ (সরবতি) লেবু,কলম্বিয়া লেবু ও কাগজি লেবুর বাগান করেন তিনি। এ বাগানে প্রথমে ৫০টি এলাচ লেবু, ৪০টি কলম্বিয়া লেবু ও ৩০টি কাগজি লেবু গাছের চারা রোপন করেন। বর্তমানে বাগানে লেবু ধরা শুরু করেছে। এ লেবু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও রমজান মাসকে ঘিরে চরফ্যাশন বাজারে লেবুর চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। এ অঞ্চলের লেবু চাষিরাও অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন এ লেবু। দুলারহাট চর নুরুল আমিন গ্রামের খালেক মাঝি প্রায় ৬ শতাংশ জমিতে সরবতি, কাগজি ও দেশি জাতের প্রায় ৫ হাজার লেবু উঠান। এসব লেবু প্রতি পিস ৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। অনেকেই তার বাগান থেকে এসে লেবু ক্রয় করেন।

রহিম মোল্লাসহ একাদিক আড়ৎদার জানান, চরফ্যাশনে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ বস্তা লেবু পাইকারি বিক্রি হয়। প্রতি বস্তায় ২ হাজার লেবু থাকে। পহেলা রমজানে ৮০ পিস লেবু ৮শ থেকে শুরু করে হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪শ টাকায় এলাচ, দেশি কলম্বিয়া, দেশি কাগজি লেবুসহ বিভিন্ন জাতের লেবু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু হাসনাইন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে চরফ্যাশনে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তবে অনেক বেকার যুবক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে কিনে পাইকারিভাবে লেবু কেনাবেচা করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে লেবুর চাহিদা অনেক বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App