×

সারাদেশ

রোহিঙ্গা সেজে করোনা টেষ্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২০, ১২:২৩ পিএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের ইউনিয়নের বড়ুয়া সম্প্রদায়ের একজনের করোন টেষ্টে ফলাফল পজেটিভ বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই বড়ুয়া ব্যাক্তি উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আর্ন্তজাতিক সংস্থ এমএসএফ পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে ভূয়াঁ রোহিঙ্গা সেজে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঠিকানা লিপিবদ্ধ করেন। বড়ুয়া লোকটি ফার্মেসি ব্যবসায়ী।

বুধবার ( ১৪ মে ) তার শরীরে অসুস্থতা অনুভব করতে পেরে সে রোহিঙ্গা সেজে কুতুপালং এর আর্ন্তজাতিক সংস্থা (এম,এস,এফ) পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসক কোভিড-১৯ উপসর্গ কথা জানতে পেরে নমুনা সংগ্র করে পাঠিয়ে দেয় কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতাল ল্যাবে। সেই ল্যাব থেকে ১৫ মে তার নমুনা টেস্ট ফলাফল পজেটিভ আসে। তার লিপিবদ্ধ করা ঠিকানা নিয়ে খুজঁতে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প রেজিষ্ট্রাডে ওই নামে কেউ না থাকায় বিভ্রতে পড়ে যায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কঠোর ভাবে খুজঁ নিতে গিয়ে জানাযায় সেই প্রকৃত একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তার স্থায়ী ঠিকানা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের কুচুবোনিয়া গ্রামের বড়ুয়া সম্প্রদায়ের লোক।

নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডা, আবু জাফর মো,ছলিম বলেন, কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল থেকে প্রেরিত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্থানীয় লোক জনৈক বড়ুয়াকে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা শরনার্থী বলা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পরীক্ষায় করোনা ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট আসা জনৈক বড়ুয়া’র নামীয় কোন রোহিঙ্গা শরনার্থী এ ক্যাম্পে নেই। পরে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে জানা যায়, করোনা সনাক্ত হওয়া ওই বড়ুয়া আমাদের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কুচুবোনিয়া এলাকার স্থানীয় নাগরিক। ওই করোনা সনাক্ত ব্যক্তিকে আপাততে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারীর কাছ থেকে তিনি বিষয়টি জানার পর উক্ত করোনা রোগীকে খুঁজতে গিয়ে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকায় তার বাড়িতে পাওয়া যায়। পরে তার নিজ বাড়িতে আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছে। উক্ত রোগী যেহেতু কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা নয়, তাই তাকে কোথায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে, তা সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, রোহিঙ্গ সেজে করোনা সনাক্ত রোগীটি যেহেতু আমার উপজেলার ঘুমধুমের স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সেহেতু তার এলাকার সংস্পর্শ লোকজনের নমুনা সংগ্রহসহ ঘরবাড়ি লকডাউনের আওতায় এনে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টেইন থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে আনা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App