×

সরকার

লক্ষ্যমাত্রা ২১ লাখ টন ধারণক্ষমতা ১৭ লাখ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২০, ১১:০৬ এএম

লক্ষ্যমাত্রা ২১ লাখ টন ধারণক্ষমতা ১৭ লাখ

খাদ্য অধিদপ্তর

করোনা সংকট মাথায় রেখে চলতি বছরে প্রায় ২১ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। একইসঙ্গে চলতি বোরো মৌসুমে আগের বছরের তুলনায় বেশি চাল, ধান, আতপ ও গম সংগ্রহ করবে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গুদামে ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় হুমকির মুখে পড়তে পারে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আসন্ন বোরো মৌসুমে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন চাল ও ৭৫ হাজার টন গম সংগ্রহ শুরু করেছে। কিন্তু পর্যান্ত গুদাম না থাকায় তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সারাদেশে খাদ্য অধিদপ্তরের মোট ৫টি সাইলো, ১৩টি সিএসডি এবং ৬৩১টি এলএসডি আছে। এ সব খাদ্য গুদামে বর্তমান কার্যকরী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৯.৫০ লাখ টন। আর বর্তমানে সরকারের গুদামে ১৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে ৬ লাখ টন ধান, সাড়ে ১১ লাখ টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) এবং ৭৫ হাজার টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন ধান কেনা হবে। বোরো ধান গত ২৬ এপ্রিল থেকে এবং চাল ৭ মে থেকে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। উভয় সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৭৫ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ টাকা কেজি দরে এই গম সংগ্রহ করা হবে।

সম্প্রতি সরকারের গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে ২শ সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রতিটি সাইলোর ধারণক্ষমতা ৫ হাজার টন। ওই হিসাবে এ সাইলোগুলোতে মোট ১০ লাখ টন ধান সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাসে এ ধরনের সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হলেও আইনি জটিলতার কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, সারাদেশে আগামী তিন মাসে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা দরে ৭৪ হাজার টন চাল বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ত্রাণ কর্মসূচির মাধ্যমে চাল বিতরণ হচ্ছে। তাই গুদামও ফাঁকা হচ্ছে। সরকারের ১৭০টি গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া দ্রুত পুরনো গুদামগুলো মেরামত করে খাদ্যশস্য রাখার উপযোগী করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

সম্প্রতি গণভবণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৮ লাখ ধান, ১০ লাখ টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার টন আতপ এবং ৮০ হাজার টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহ করব। আমরা ইতোমধ্যে ধান সংগ্রহ করার ঘোষণা দিয়েছি। বোরোতে আগে যা আমরা নিতাম, তার থেকে অনেক বেশি নিচ্ছি। এটা সরকার কিনে রাখবে। তাতে আমাদের আর ভবিষ্যতে কোনো অভাব হবে না। আমরা মানুষকে খাবার সহযোগিতা দিতে পারব।

এদিকে, এবার বোরোতে ২২ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের উপজেলাগুলো অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত আমন মৌসুমে সাত বিভাগের ১৬ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪ জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬ উপজেলায় (অ্যাপে আমন সংগ্রহ করা) মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App