×

বিনোদন

আর্থিক সংকট মোকাবিলায় তহবিল গঠন করা হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২০, ১২:৪৪ পিএম

আর্থিক সংকট মোকাবিলায় তহবিল গঠন করা হচ্ছে

নির্মাতা এস এ অলিক

চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা এস এ হক অলিক। বর্তমানে তিনি ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি লকডাউন পরিস্থিতিতে সব ধরনের শুটিং সাময়িক স্থগিতের নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি শুটিং ইউনিটের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙ্গে শুটিং করার অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড কী পদক্ষেপ নিবে? এ নিয়ে জানতে ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়ে ভোরের কাগজ কথা বলেছে অলিকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার শাকিল মাহমুদ।

নিয়ম না মেনে নাটকের শুটিং হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড অবগত কিনা? আসলে নাটকের শুটিং কোথাও হচ্ছে না। তবে কিছু টিভিসি, কিছু ইন্টারভিউর শুটিং হয়েছে। এছাড়াও একটি নাটকের টিম গত পরশু শুটিংয়ের জন্য পুবাইলে গিয়েছিল। বিষয়টি আমরা জানার পর পরই শুটিং টিমকে ফিরে আসতে বলি এবং তারা শুটিং না করেই চলে আসে।

শুটিং করার অনুমতি না থাকার পরেও শুটিং করতে যাওয়া অপরাধমূলক কাজ। এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে? শুধু ডিরেক্টরস গিল্ড নয়। আমাদের টেলিভিশন নাটকের শীর্ষ চারটি সংগঠন (প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টরস গিল্ড, শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ) এ বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে খুব শিগগিরই উপনীত হবে। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুটিং টিমটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লকডাউন থাকায় সব ধরনের শুটিং বন্ধ। ফলে নির্মিত হচ্ছে না নতুন কোনো নাটক। যে কারণে একটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ইন্ডাস্ট্রি। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কী ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন? দেখুন যে পহেলা বৈশাখ চলে গেছে তা আর ফিরে পাব না। ঈদও প্রায় কাছে চলে এসেছে, অথচ আমরা কোনো নতুন নাটক নির্মাণ করতে পারিনি। টেলিভিশন নাটক মূলত পহেলা বৈশাখ, ২৬ মার্চ ও ঈদের মতো বড় তিনটি উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপুলভাবে নির্মিত হয়। কিন্তু এবার একটি উৎসবেও নতুন কোনো নাটক নির্মাণ করা যায়নি। ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা হয়ে গেছে। তা কাটিয়ে ওঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে এই মুহূর্তে সরকারের সুদৃষ্টি না পড়লে টেলিভিশন নাটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিরিয়াসভাবেই ভাবতে হবে। মূলত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ঘটে যাওয়া ক্ষতি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আসা আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো প্রকার আবেদন করা হয়েছে? আমাদের টেলিভিশন নাটকের মোট ১৫টি সংগঠন মিলে তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর একটি আবেদন করেছি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছেও একটি আবেদন করা হয়েছে। যাতে টেলিভিশন নাটকের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটি সিদ্ধান্ত আসবে।

বর্তমান সময়ে টেলিভিশন নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ কলাকুশলী আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের সাহায্যার্থে ডিরেক্টরস গিল্ড কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? প্রাথমিকভাবে আমরা সহকারী পরিচালক, অন্য কলাকুশলীদের কিছুটা আর্থিক সহায়তা করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাদের আমাদের সকলেই আর্থিক সমস্যায় পড়ে গেছি। এরপরেও এখন পর্যন্ত যারা খানিকটা সচ্ছল রয়েছি তারা মিলে ঈদের আগে কলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বর্তমান সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী কোনো সংকট মোকাবিলায় অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, কলাকুশলীদের জন্য কোনো তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা আছে? বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আসলেই আমরা অনেক শিক্ষা নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে আল্লাহ না করুক পরবর্তী সময়ে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হলে আমাদের অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনের কথা চলছে। যেখানে নাটক থেকে প্রাপ্ত টাকার একটি অংশ তহবিলে প্রদান করা হবে, যাতে যে কোনো সংকটে আমরা ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াতে পারি।

ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানে গৃহবন্দি সময় কীভাবে কাটাচ্ছেন? আসলে এ সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছি। আমার ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। তার সঙ্গেই সময় কেটে যাচ্ছে। এমনি অন্যান্য সময়ে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। তাই বলতে গেলে এটা পরিবারের সঙ্গে কাটানো মতো ভালো সময়। তাছাড়া সংগঠনের কাজ করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App