×

জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২০, ১০:২৩ এএম

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ছবি: সংগৃহীত

১৭-১৮ মে আসতে পারে নির্দেশনা

স্টেশনে আঁকা হচ্ছে সামাজিক দূরত্বের গোলবৃত্ত

যেকোনো দিন ট্রেন চালাতে সব ধরনের প্রস্ততি সেরে রাখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, আমরা রেল চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ইঞ্জিন সচল রাখাসহ বগি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। এখন স্টেশন, বার্থরুমসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে সরকারের উচ্চ মহলের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া রেলওয়ে ট্রেন চালাতে পারবে না। যেদিন সড়ক ও নৌপরিবহন চলাচল করবে সেদিন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে জানান তিনি।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পার্সেল ট্রেন। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে সবাই জানতে পারবেন। এদিকে ঈদুল ফিতরের আগেই সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লষ্টরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এডিজি জানিয়েছেন ঈদের আগে আগামী ১৭-১৮ মে নাগাদ যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর নির্দেশনা আসতে পারে এমন ধারণা করছেন তারা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে টিকেট কাটার জন্য সামজিক দূরত্ব বৃত্ত আঁকার কাজ চলছে। কাউন্টার, স্টেশন, গাড়ির বগি, ট্রেনে ওঠার জন্য ধরার হাতল, সিটসহ সব কিছু পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পুনরায় ট্রেন চলাচল চালু করা যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি কমিটি কাজ করছে। তারা রেলওয়েসহ সব পরিবহনের জন্য বিশেষ কিছু স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা রেল স্টেশনে টিকেট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোল গোল করে বৃত্ত করে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ট্রেন চালু হলে যাতে করে স্টেশনে আসা যাত্রীরা টিকেট কাটার জন্য তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে পারেন, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ট্রেনের ভেতর শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ৭০-৭৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করা হবে। সেই অনুসারে টিকেটও বিক্রি করা হবে।

সম্প্রতি রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও-ঢাকা) মো. শওকত জামিল মোহসীন স্বাক্ষরিত বিভিন্ন স্টেশনে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের শর্তে ঈদুল ফিতরের আগে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের অনুমতি আসতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, অনবোর্ড পরিচালিত ট্রেনগুলোর দরজা-জানালা, হাতল, সিট, হেড বেল্ট কাভার, টয়লেট, মেঝে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানকে খাবার গাড়ি সুষ্ঠুভাবে পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে।

এছাড়া ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারে স্টেশনগুলোর মাইকে ঘন ঘন ঘোষণা দিতে হবে, বড় অক্ষরে লিখে সাঁটিয়ে দিতে হবে কাউন্টারের সামনে। ইস্যু করা টিকেটের ওপর ‘ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে’ মোটা সিল মেরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। সর্বোপরি স্টেশনের দায়িত্ব পালনকালে প্রত্যেক কর্মচারীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্টেশন কতৃপক্ষ, কর্তব্যরত রেলকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App