যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, প্রবাসী স্বামী গ্রেপ্তার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২০, ০৫:১৫ পিএম
ফেনীতে যৌতুকের জন্য নাঈমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে গৃহবধুর প্রবাসী স্বামী মো. ইব্রাহিমকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে বিকেলে গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেরার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যম ছনুয়া গ্রামের কবির আহম্মদের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম ওই বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে। সে গত মার্চ মাসে দুবাই থেকে দেশে এসেছে।
নিহত গৃহবধুর চাচা মনির আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে সদর উপজেরার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যম ছনুয়া গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. ইব্রাহিমের সাথে ছনুয়া ইউনিয়নের টঙ্গির পাড় গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে নাঈমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেয়ের বাবার বাড়ি লোকজনকে চাপ দিতো। এসময় যৌতুকের জন্য গৃহবধু নাঈমা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতনও করতো শাশুড়ি। গত মার্চ মাসে স্বামী ইব্রাহিম দেশে আসলে ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয় নাঈমাকে।
গৃহবধু যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সোমবার নাঈমাকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মেয়ের বাড়িতে জানায় নাঈমা আত্নহত্যা করেছে। মেয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা ফজলুল হক জানান, ‘আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নিয়মিত নির্যাতন করতো। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্নহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’ নিহত গৃহবধু নাঈমার চার বছর বয়সী একটি বাচ্চা আছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামী করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী স্বামী মো. ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। একই সাথে মামলার অপর আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।