×

মুক্তচিন্তা

অনলাইনে উচ্চশিক্ষা : ভেবেচিন্তে এগোতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২০, ০৯:০৭ পিএম

অনলাইনে উচ্চশিক্ষা : ভেবেচিন্তে এগোতে হবে
অনলাইনে উচ্চশিক্ষা : ভেবেচিন্তে এগোতে হবে
করোনা ভাইরাসের বেশুমার সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের সূত্র ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানান ধরনের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষতিকে সামলে নেয়ার জন্য তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে, ঈদের বাজার চিন্তা করে বিভিন্ন বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সমাজের সর্বত্র যাতে স্থবিরতা না আসে, সেজন্য ভার্চুয়াল মিটিং করে বিভিন্ন অফিসিয়াল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যেমন ১২ মে থেকে অনলাইনে আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস-পরীক্ষা-ভর্তি অনলাইনে নিতে পারবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল-কলেজগুলো শুরু থেকেই অনলাইনে ক্লাস জারি রেখেছে। বাংলা মাধ্যমের, যাকে সাধারণ শিক্ষা (!) বলা হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ টিভির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ব্যাংকসহ অন্যান্য কলকারখানাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে। এভাবে অনেক কিছুই মোটামুটি ‘জোড়াতালি’ দিয়ে চলছে। ‘জোড়াতালি’ বলছি, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ম্যানুয়ালি এবং এনালগ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত কাজ কারবার চরিত্র হঠাৎ করে অনলাইন ব্যবহার করার মাধ্যমে করতে গিয়ে ঠিক আগের মতো ফল পাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে আমার খানিকটা খুঁতখুঁতানি আছে। তাছাড়া এসব অফ-লাইনের কাজ কারবার হঠাৎ করে অনলাইনে করার উদ্দেশ্য-বিধেয় নিয়েও আমার খানিকটা ভিন্নমত আছে। তবে সবার না হলেও অনেকেরই সদিচ্ছার এবং আন্তরিকতার যে কোনো অভাব নেই, সেটা অনস্বীকার্য। এরকম সদিচ্ছারই আরেকটি বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে অনলাইনে উচ্চশিক্ষা; বিশেষ করে বাংলাদেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার চিন্তাভাবনা। আমি যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত, সেহেতু আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে অনলাইনে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এখানে পেশ করতে চাই। শুরুতেই সাফ করে বলতে চাই যে, আমি অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের বিপক্ষে নই। এবং আমি মনে করি, অনলাইনে উচ্চশিক্ষার চিন্তা-ভাবনা কোনো অবাস্তব কল্পনা নয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কেননা করোনা ভাইরাসের চরিত্র, আক্রমণ, সংক্রমণ, গতিবিধি এবং এর প্রতিষেধক নিয়ে আমাদের কোনো পরিষ্কার ধারণা নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আলোচনা সারসংক্ষেপ করলে আমরা পাই, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের চ‚ড়ায় আমরা এখনো পৌঁছাইনি। কবে পৌঁছাব তা নিয়েও ‘নানা মুনির নানা মত’। আমরা এখনো আরোহণ অবস্থায় আছি। এরপর আমার পৌঁছাব চূড়ায়। চূড়াতে গিয়ে কিছুদিন থাকতে হবে স্থিতাবস্থা। এরপর অবরোহন কাল। আবার অবরোহন করতে করতে যখন মোটামুটি একটা আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় যাব, তখন হয়তো জীবনযাত্রায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। আর তখন হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে। সুতরাং ধরেই নেয়া যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার মেইনটেইন করে কোর্স-কারিকুলাম যথাযথভাবে সমাপ্ত করে পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশ করার যে সনাতন পরম্পরা ও ধারাবাহিকতা সেখানে দীর্ঘ সেশন-জটের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তাই এরকম একটি অবস্থায় কীভাবে অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তাগাদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে আলাপ-আলোচনা ও চিন্তাভাবনা করছে, সেটা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু এ কার্যক্রমে যে মূল অংশীজন, শিক্ষার্থী, তারা এ অনলাইনে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে কতটা লাভবান হবে এবং এ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কতটা গ্রহণ করতে পারবে, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেননা অনলাইনে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য যদি হয়, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া, তাহলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কত লাভবান হবে এবং এ কার্যক্রমের কতটা তারা গ্রহণ করতে পারবে, সেটাকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাসহ শিক্ষার্থী আর্থিক অসচ্ছলতার কথা বিবেচনা করে এখনই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে না গিয়ে এ দুঃসময় কেটে গেলে প্রয়োজনে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এ ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহও বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্ভবত একই ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম এ মুহূর্তে শুরু করার আগে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং প্রযুক্তি জ্ঞান রাখেন বলে আমার বিশ্বাস। আর বাকিদের যদি প্রয়োজনীয় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ এবং সক্ষমতাসম্পন্ন করা যাবে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষকদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ করে তোলার সক্ষমতা রাখে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাদের জন্য এত আয়োজন, তারা এটা গ্রহণ করার জন্য কতটা প্রস্তুত। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের এক্সেসই নেই। এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে হলে, ল্যাপটপ না হলেও নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন সেট থাকা অত্যাবশ্যক যা আমার ধারণা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫-৩০ ভাগ শিক্ষার্থীর নেই। তাহলে যে গ্রহণ করবে তার যদি গ্রহণের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি না থাকে তাহলে এ ধরনের কার্যক্রমে কেবল একটা বিশেষ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পারবে যেখানে বড় একটা অংশই এ শিক্ষা কার্যক্রমে আওতার বাইরে চলে যাবে। আর যাদের স্মার্টফোন নেই, এ করোনা ভাইরাসের সময় তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সংযুক্ত হওয়ার জন্য এ মুহূর্তে তাকে একটা স্মার্টফোন কিনতে বলা, কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। ফলে একটা বিরাট অংশ প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের অভাবে এ কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাবে। আর্থিক সক্ষমতা অনলাইন কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষা ঘণ্টাওয়ারি কিনে নিতে হবে। কেননা শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ কিনে ফোনের মাধ্যমে এ শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে কেননা বাসায় আনলিমিটেড ওয়াইফাই আছে এরকম শিক্ষার্থীও সংখ্যা ২০-২৫ ভাগের বেশি হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ যাদের স্মার্টফোন সেট আছে, তাকে বাংলাদেশের কোনো একটা মোবাইল অপারেটরের একটা ইন্টারনেট প্যাকেজ নিতে হবে। যেহেতু ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হবে (ধরে নিলাম!), সেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হাইস্পিড ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হবে আমার ধারণা যা ক্রয় করার জন্য অন্তত ৫০-৬০ ভাগ শিক্ষার্থীর বা তাদের পরিবারের সেই আর্থিক সচ্ছলতা নেই। এখানে মনে রাখা জরুরি যে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আসে এদেশের নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে যাদের পক্ষে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। ফলে অনলাইনে উচ্চশিক্ষার এন্তার কার্যক্রম কেবল ‘পয়সাওয়ালাদের শিক্ষায়’ পরিণত হবে। এলাকাভেদে ইন্টারনেটের গতি এটা সবারই জানা যে, বাংলাদেশে সব জেলায় এবং সব এলাকায় ইন্টারনেটের গতি একই রকম নয়। বাংলাদেশের অনেক গ্রাম আছে যেখানে ইন্টারনেটের সংযোগই নেই। এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া অনেক শিক্ষার্থী এ ধরনের এলাকা এবং গ্রামে বাস করে। উদাহারণস্বরূপ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতে বাস করে যাদের অনেকের গ্রামে ইন্টারনেটের কানেকশনই নেই। ফলে অনলাইনে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে কোনোভাবেই এসব শিক্ষার্থী উপকৃত হবে না। যাদের জীবনটাই ‘অফ-লাইন’, তার ওপর অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চাপিয়ে দিলে, তাকে যেমন তার প্রাপ্য এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে, তেমনি পুরো শিক্ষা কার্যক্রমই একটা আংশিক শিক্ষার্থীর আওতায় চলে যাবে। অর্থাৎ সে এমনিতেই সমাজে বিদ্যমান সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের কাঠামোতে ‘বঞ্চিত শ্রেণি’ হিসেবে জীবন যাপন করে, তার ওপর অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চাপিয়ে দিয়ে তাকে আরো বঞ্চিত করা হবে কিনা সে বিষয়গুলোকেও সক্রিয় বিবেচনায় নিতে হবে। ‘ক্লাসের সাইজ’ ও অনলাইন ক্লাসের ধারণক্ষমতা বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক একটা শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বেশিরভাগ বিভাগেই প্রায় প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় শতাধিক। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে এতবড় ক্লাস-সাইজকে কীভাবে ধারণ করা যাবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা জরুরি। শিক্ষকরা বাসায় বসে ল্যাপটপে লেকচার দিতে পারেন কিন্তু যারা সেটা গ্রহণ করবে তারা তার কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে তা নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা প্রয়োজন আছে। একটা জায়ান্ট মনিটরেও একসঙ্গে ২৫-৩০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী হলে, সেটা আর কোনোভাবেই একাডেমিক কার্যক্রমের আওতায় পড়বে কিনা তা বলা মুশকিল। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পাঠশালা নয় যেখানে ¯্রফে বিদ্যা বিলানো হবে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে ডাইয়ারেক্টিকস এবং অংশীজনের মধ্যে নানান ধরনের একাডেমিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার আদান-প্রদানের পরিসর থাকে, সেটা এসব অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে আদৌ কতটা সম্ভব হবে, তাও বিবেচনার দাবি রাখে। পরিশেষে বলব, করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টরের মতো উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমও যে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু তাই বলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এমন কোনো ব্যবস্থা চালু করা নেহায়েত জরুরি কিনা যার মাধ্যমে খোদ শিক্ষার্থীরাই নানানভাবে বঞ্চিত হবে। যাদের জন্য এত আয়োজন তাদেরই এক বড় অংশ যখন উল্টো পিছিয়ে পড়বে, তখন যে ব্যবস্থা চালু করার আগে আরো একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুললে সাধারণ ছুটি কাটছাঁট করে এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া এরকম নানান বিকল্প চিন্তা করা যেতে পারে। অনলাইনে উচ্চশিক্ষার কার্যক্রম চালুর উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে মহৎ কিন্তু সিদ্ধিই যদি না হলো তাহলে মহৎ উদ্দেশ্য আর মহৎ থাকে কই! তাই অনলাইনে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। যাতে আমরা এগোতে গিয়ে যেন পিছিয়ে না পড়ি!! ড. রাহমান নাসির উদ্দিন : নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App