ফুলবাড়ি বাঁধ নির্মাণে কর্তৃপক্ষের নজর নেই
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ০২:২৫ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে ছোট যমুনা নদীর ফুলবাড়ি বেড়ি বাঁধ নির্মাণে কর্তৃপক্ষের নজর নেই। শুকনো মৌসুমে বেড়ি বাঁধটির সংস্কার কাজ না করায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বর্ষা মৌসুমের আগেই আতংকে আছেন।
ফুলবাড়ি এ বেড়ি বাঁধটি গত ২০১৪ সালে ভেঙ্গে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় ফুলবাড়ি মিরাপুর উদনপৈ সহ আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। ২০১৭ সালে রানীনগরের নান্দাই বাড়ি বেড়ি বাধ ভেঙ্গে এ দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর ২০১৯সালে আবার তা ভেঙ্গে যায় নান্দাই বাড়ি বাধ। ভাঙ্গনের সময় পানি উন্নয় বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের আশ্বাস প্রদান ও আনাগোনা দেখা গেলেও বাঁশের খুঁটি আর বালুর বস্তা দিয়ে দায়সারা চেষ্টা করা হয়। খুঁটিই যেন শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এই বাঁধের অবস্থা খুবই বিপদজনক।
সাহাগোলা ইউ,পি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন বাঁধটির সংস্কার কাজের জন্য বছরের পর বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হয়নি। শুধুমাত্র ভেঙ্গে যাওয়ার সময় বাঁধটি পরিদর্শনে এসে কর্তা ব্যক্তিরা বড় বড় আশ্বাস দিয়ে চলে যান ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার জানান, ফুলবাড়ি ভাঙ্গন-সহ এই বাঁধটি এলাকাবাসির জন্য একটি অভিশাপ। জরুরীভাবে এই বাঁধটি মেরামত করা না হলে পানি প্রবেশ করে আত্রাই রানীনগরের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই বাঁধ গুলোর দিকে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান,এক সময় এগুলো রাস্তা ছিলো। কিন্তু নদী ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এখন তা বাঁধে পরিণত হয়েছে। আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি বেড়ি বাঁধের ভাঙ্গনসহ বাঁধ এবং রানীনগর উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধটি সংস্কারের বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
সাংসদ মো: ইসরাফিল আলম বলেন ছোটখাটো বরাদ্দ দিয়ে এই ভাঙ্গন ও বাঁধটির সংস্কার করা সম্ভব নয়। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফুলবাড়ির এই ভাঙ্গন বাঁধটির প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আত্রাই ও রানীনগর দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত ও হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছি।