×

জাতীয়

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পোশাক শ্রমিকদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২০, ১০:৪৪ এএম

ধাপে ধাপে কারখানা চালুর নির্দেশনাও মানেনি মালিকরা রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের বাইরে অন্য শিল্পকারখানাও চালু

সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই গত ২৬ এপ্রিল থেকে সচল হয়েছে শিল্প-কারখানা। শ্রমঘন পোশাক শিল্পে কোভিড আক্রান্ত কর্মী সংখ্যাও বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও। এ প্রেক্ষাপটে শিল্পকারখানা সচলে সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা, নজরদারিতে বিশেষ পরিদর্শন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৬ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ৩০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে কারখানা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছিল বিজিএমইএ। পরবর্তী ধাপে শ্রমিকের সংখ্যাটি ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ ছিল সংগঠনটির। কিন্তু শুরুতেই বিজিএমইএর এ নির্দেশনা মানেনি অনেক কারখানা। ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কারখানা চালু করার অভিযোগও আছে। ফলে নির্দেশনা না মেনে বেশিসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করোনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি অনেক কারখানায়। অন্যদিকে চাকরি রক্ষার জন্য গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা শিল্পাঞ্চলগুলোতে ফিরতে শুরু করায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিও বাড়ছে।

এদিকে, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে শ্রমঘন পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সুরক্ষা ও এ বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ৯ দফার সুরক্ষা পদক্ষেপের বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে-বিজিএমইএ এর উত্তরা অফিসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘বিজিএমইএ-করোনা কন্ট্রোল রুম খোলা, করোনা প্রতিরোধে বিজিএমইএ-করোনা কন্ট্রোল রুম, এলাকাভিত্তিক ৪টি কমিটি, হটলাইন একযোগে কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিএমইএ ১১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কারখানাগুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার কথা বলা হয়।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম ভোরের কাগজকে বলেন, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ হটলাইন ও নিবেদিত ডাক্তারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত পোশাক শ্রমিকরা চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। গত ২৬ এপ্রিল নতুন করে কারখানা চালু হওয়ার পর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানার ২০ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনেই আক্রান্ত ৮ জন।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, গত মঙ্গলবার ৫ হাজার ৭১১ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো পেশার বিষয়ে ভাবাটা ঠিক নয়। একদিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৭৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পোশাক খাতের সংখ্যা কোনোভাবেই উল্লেখযোগ্য নয়। অর্থনীতির স্বার্থে শুধু পোশাক নয়, সামগ্রিক চিত্র দেখতে হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের বাইরে অন্য শিল্পকারখানাও চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার রি-রোলিং, সিমেন্ট, কেব্লস, ট্যানারি, প্যাকেজিং, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানায় আংশিক বা পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ এ ছয় এলাকায় গতকাল খোলা ছিল ৪ হাজার ৩১৮টি কারখানা। এলাকাগুলোতে সব খাত মিলিয়ে মোট কারখানা আছে ৭ হাজার ৬০২টি। খোলা কারখানাগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৪৬টি পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য। আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা খোলা ছিল ৩৫৬টি। পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য কারখানা খোলা ছিল ১৭৪টি।

সম্প্রতি পোশাক কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না, সে বিষয়ে বেশ কয়েকটি পরিদর্শন টিম গঠন করে বিজিএমইএ। গঠনের পর থেকে প্রতিদিনই কিছু কারখানা পরিদর্শন করছে টিম। সর্বশেষ ৪৮টি কারখানা পরিদর্শনের একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিজিএমইএর পরিদর্শন টিম। তাতে দেখা গেছে, ২১টি কারখানাই ৫০ শতাংশের বেশি শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন চালাচ্ছে। মাত্র ১২টি কারখানায় ৩০ শতাংশের কম শ্রমিক কাজ করছেন। তবে শ্রমিকের মাস্ক পরিধান, হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করায় ৪৭টি কারখানার কার্যক্রমকে বিজিএমইএ সন্তোষজনক বলেছে। এদিকে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানার ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটছে। ধাপে ধাপে কারখানা খোলার কথা থাকলেও সেটি অমান্য করে তাদের অনেকে আগেভাগেই উৎপাদন শুরু করেছে। দূরদূরান্ত থেকে শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি মানেননি অনেক পোশাকশিল্পের মালিক। একাধিক পোশাকশিল্পের মালিক স্বীকার করেন, ধাপে ধাপে শ্রমিক বাড়ানোর নির্দেশনা থাকলেও সেটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। তাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কারখানায় আসা-যাওয়ার পথেও একই সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একাধিকবার অনুরোধের পর গত ৬ এপ্রিল কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয় বাংলাদেশ গার্মেন্টস মেনুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়ার মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। পরে সেই বন্ধ ২৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর মধ্যেই সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা খোলার প্রক্রিয়া শুরু করে সংগঠন দুটি। সংগঠন দুটির নিদের্শনা ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশপাশের এলাকা থেকে ৩০ শতাংশ শ্রমিক নিয়েই কারখানা চালু করতে হবে যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা কাজ করতে পারে। পরবর্তী ধাপে শ্রমিকের সংখ্যাটি ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ ছিল। কিন্তু বিজিএমইএর এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনেক কারখানা শুরুতেই ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ চালু করে। আর বেশিসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল হচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।

এলাকাভেদে সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল বিজিএমইএ। এক্ষেত্রে তাদের নির্দেশনা ছিল, রবি ও সোমবার ঢাকার ২১৩টি কারখানা চালু হবে। আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা খুলবে ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল। এ ছাড়া রূপগঞ্জ, নরসিংদী ও কাঁচপুরের কারখানা ৩০ এপ্রিল এবং গাজীপুর ও ময়মনসিংহের কারখানা চালু হবে ২ ও ৩ মে। তবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুই নিটিং, ডাইং ও শ্যাম্পল (নমুনা) সেকশন, ২ মে কাটিং এবং ৩ মে থেকে সেলাই বা সুইং সেকশন চালু করতে পারবে কারখানাগুলো। সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা চালুর নির্দেশনা থাকলেও শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় সব মিলিয়ে বিজিএমইএর ৮৬৭টি সদস্য কারখানা গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালু হয়েছে। এসব এলাকায় বিকেএমইএ’র ২২৩টি ও বিটিএমএর সদস্য ৯৭টি বস্ত্রকলও উৎপাদন শুরু করেছে। তাছাড়া রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) ৩৬৪ কারখানার মধ্যে ২৭০টি চাল হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছ পোশাক কারখানাও রয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনকি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলের বাইরে থাকা শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে নিষেধ করা হলেও গত শনিবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) জারি করা এক নির্দেশনায় ঢাকার বাইরে থাকা শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলমুখী হওয়ার পথ আরো সহজ করা হয়। ঐ নির্দেশনায় বলা হয়, শ্রমিকদের আসতে হলে কারখানার আইডিকার্ড দেখাতে হবে। এরপর কারখানা খোলার খবরে ঢাকার বাইরের জেলার বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ঘরে থাকার নির্দেশনা অমান্য করে চাকরি বাঁচাতে এবং বকেয়া বেতন পাওয়ার আশায় নিজ নিজ কারখানায় ফিরতে শুরু করে। কিন্তু পোশাক শ্রমিকরা অনেক স্থানে কাজে যোগ দিতে এসে দেখতে পায় তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে এবং আগের মাসের বেতনটাই দিচ্ছে না মালিকপক্ষ। সামনে ঈদুল ফিতরের উৎসব বোনাসেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে শ্রমিকদের মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন শ্রমিকদের বেতন না পাওয়া বা বেকার হয়ে যাওয়ার ক্ষোভ থেকে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম বলেন, শ্রমিকের নামে অন্যরাও ঢাকায় চলে আসছেন। অন্যরা যাতে শ্রমিকের নামে আসতে না পারেন, সেজন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে গত ২৬ এপ্রিল নতুন করে কারখানা চালু হওয়ার পর এপর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানার ১১ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন সাভারের, দুইজন গাজীপুরের অপর দুইজন খুলনার। তারা সাভারের হেমায়েতপুরের এজেআই গ্রুপ, কর্ণপাড়া এলাকার আল-মুসলিম গ্রুপ, উলাইলের ডেনিটেক্স লিমিটেড, ঢাকা ডায়নামিক সোয়েটার, এইচআর গার্মেন্টস, গাজীপুরের পার্ক স্টার অ্যাপারেলস, টঙ্গীর শান্তা এক্সপ্রেশন লিমিটেড ও খুলনার দুইজন নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন।

শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোরের কাগজকে বলেন, এ পর্যন্ত যেসব শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, তারা সবাই যে কারখানায় আক্রান্ত হয়েছেন, এটি বলা যাবে না। কেননা, অনেকেই এলাকায় যাওয়ার পরও আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই নিজেদের মতো করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রিআল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, কারখানায় আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা শতাধিক হবে বলে আশঙ্কা করছি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও বিষয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি। এছাড়া করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের বাইরে অন্য শিল্পকারখানাও চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার রি-রোলিং, সিমেন্ট, কেবলস, ট্যানারি, প্যাকেজিং, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানায় আংশিক বা পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা না মানায় ইতোমধ্যে কয়েকজন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য শিল্পকারখানার শ্রমিকেরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলেআশঙ্কা করছেন শ্রমিক নেতারা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, পোশাকের বাইরে অন্য কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না, সেটির দিকে খুব বেশি মনোযোগ নেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই), শিল্প পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের। তবে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় শিল্পকারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৬০২টি। এর মধ্যে রবিবার উৎপাদনে ছিল ২ হাজার ৫৯২টি। এগুলোর মধ্যে পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৬৮০টি। অন্যান্য কারখানা ৯১২টি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App