×

রাজধানী

বড় শপিংমল একটিও খুলছে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২০, ০৯:০৯ পিএম

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই রাজধানী ঢাকার প্রায় সবগুলো মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। আর সারা দেশ পড়ে যায় লকডাউনে। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পরে ঈদ উপলক্ষে আগামী ১০ মে থেকে মার্কেটগুলো কয়েকটি বিধি মানার শর্তে খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ঈদের আগে শপিং মলগুলো খোলার সুযোগ সরকার দিলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে খুলছে না রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পাক, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বড় ও নামকরা শপিং মল।

তবে বুধবার (৬ মে) ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মল ও নিউ মাকের্ট কর্তৃপক্ষ তাদের মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে এক মাস বন্ধ থাকার পর গতসোমবার সরকার শপিং মলগুলো ১০ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দেয়। যখন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তখন শপিং মলগুলো খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। এতে সংক্রমনের হার বাড়বে বলে সমালোচনা করেছে অনেকেই।

কারওয়ান বাজারে বসুন্ধরা সিটি এবং কুড়িলের কাছে যমুনা ফিউচার পার্ক ঢাকার সবচেয়ে বড় শপিং মল। যেখানে ঈদের সময় ব্যাপক লোকের ভিড় হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শপিং মলটি না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবু তৈয়ব বলেন, এই (বসুন্ধরা সিটি) শপিং মলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটার জন্য আসে। ঈদের আগে আরও বাড়ে। এই মহাসঙ্কটের সময়ে আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। আগে মানুষের জীবন, তার পরে ব্যবসা- এই উপলব্ধি থেকেই আমরা শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বসুন্ধরা গ্রুপ ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তাদের কনভেনশন সেন্টারকে দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে। আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। মানবতার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই তিনি মানুষের পাশে আছেন। শপিং মল না খোলা তার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

যমুনা ফিউচার পার্কের মালিকানা কর্তৃপক্ষ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই মহামারীর সময়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না আমরা। সে কারণেই এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর খুলব বলে জানান তিনি।

এদিকে দোকান খোলা নিয়ে বুধবার নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতি ভার্চুয়াল মিটিং করে। মিটিংয়ে ১০ মে দোকান খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মূলত কয়েকটি কারণে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি সমিতি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম গণপরিবহন বন্ধ থাকা। পরিবহন না খুললে দূর থেকে ক্রেতারা নিউমার্কেট যাতায়াত করতে পারবেন না। এতে বেচাকেনা হবে কম।

তবে খোলার বিষয়টি এখনো পর্যবেক্ষণে রাখছে সমিতি বরে জানান হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তবে দোকান মোটেই খোলা হবে না। একইভাবে নিউমার্কেটের আশপাশের মার্কেটও পর্যবেক্ষণ করবে তারা। এজন্য ৯ মে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এসব বিষয় সমাধান না হলে নিউমার্কেট বন্ধই থাকবে।

নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, পরিবহন বন্ধ, আমরা দোকান খুলে কি করবো। পরিবহন বন্ধ থাকলে মিরপুরের একজন ক্রেতা দোকানে আসতে পারবেন না। সংক্রামণ বাড়তে থাকলে দোকান খুলে কি করবো। আমার একজন দোকানি যদি আক্রান্ত হয় এই দায়ভার কে নেবে? তারপরও সংক্রমণ যদি কমতে থাকে এবং নিউমার্কেটের আশপাশের দোকান খুলে দেয় তখন ভেবে দেখা যাবে। এছাড়া ছোট বড় অনেকগুলো শপিংমল কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে তাদের শপিংমল খুলবে কিনা তা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর কবছে বলে জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App