×

বিনোদন

জেগে উঠব আপন শক্তিতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২০, ১২:২৫ পিএম

জেগে উঠব আপন শক্তিতে

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু

জেগে উঠব আপন শক্তিতে

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু।

করোনাকালে এ ক্রান্তিলগ্নে ঘরবন্দি সময় কাটাতে সবারই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কী আর করা! করোনাকে প্রতিরোধ করতে একটু কষ্ট হলেও সবাই মেনে নিয়েছেন। অনেকরে মতোই ঘরবন্দি রয়েছেন অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু। এ সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন? কীভাবে সাহায্য করছেন অসচ্ছল মানুষকে? এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। কথা বলেছেন শাকিল মাহমুদ

ঘরবন্দি সময় কীভাবে কাটাচ্ছেন?  কাজের বাইরে ঘরে থাকাটা আমার সবসময়ই পছন্দের ছিল। এমনিতেও ভাবছিলাম বইমেলার পর পর একটা ছোট্ট বিরতি নেব। ঘরবন্দি সময়টা তাই অবসর হিসেবে মেনে নিচ্ছি। ঘরের বিভিন্ন কাজ করা, ছেলের সঙ্গে সময় কাটানো, বই পড়া, ছবি আঁকা, আর রান্নার নতুন নতুন রেসিপি চেষ্টা করা এভাবেই কেটে যাচ্ছে সময়। একটু লেখালেখির চেষ্টাও আছে।

বর্তমানে যে সময়টা পার করছেন- এটার অভিজ্ঞতা কেমন? বর্তমান সময়টা খুব স্থবির একটা সময়। মানসিকভাবে বেশ অস্থিরতা পার করছে প্রতিটি অনুভূতিশীল মানুষ। চেষ্টা করছি তবুও এই স্থবির সময়েও হতাশ না হয়ে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সময়টাকে। পরিবারকে সময় দিচ্ছি, নিজের লেখালেখির ভাবনায় ডুবে থাকার চেষ্টা করছি।

অনলাইনে বিভিন্ন পারফর্মেন্স ইতোমধ্যে চালু হয়েছে- সৃজনশীল কর্মের ক্ষেত্রে এ কার্যকারিতা কতটুকু? মানুষ যেহেতু এখন সময়ের কাছে বন্দি তাই নিজের ভেতরটাকে এক্সপ্লোর করার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে সবার ভেতরেই। এটা ইতিবাচক। সেক্ষেত্রে সবাই অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব যেসব সৃজনশীল ক্ষেত্র আছে, যেমন গান, নাচ, কবিতা, ইনস্ট্রুমেন্ট বাজানো সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মননে।

[caption id="attachment_219024" align="aligncenter" width="615"] অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু[/caption]

অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যক্তিগতভাবে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? যেহেতু একদম ঘরবন্দি, শুধু নিজের স্বার্থে নয়, পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে একদম মাঠ পর্যায়ে গিয়ে অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কাছের প্রিয়জন, আত্মীয়স্বজন বা এলাকার কাছাকাছিদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

শিল্প-সংস্কৃতির মানুষরা এ সময়ে যে কাজগুলো করছে তা কি আপনার কাছে যথেষ্ট মনে হয়? শিল্প-সংস্কৃতির মানুষরা তাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে যথেষ্ট সচেতনতামূলক কাজ করছেন। সংকটপূর্ণ এই সময়টায় সাধারণ মানুষদের মনোবল জোগাতে প্রত্যেকে দারুণ কাজ করছেন। নিজেদের অবস্থান নিরাপদ রাখাটাও জরুরি বিষয়। পুরো সমাজের জন্য তাই লকডাউন সচেতনভাবে মানার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করার কাজটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই জীবাণু মুক্তর একটাই উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

করোনার ফলে শিল্প-সংস্কৃতির যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে কি করা উচিত হবে বলে আপনি মনে করেন? দীর্ঘ একটা সময় স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত। সবকিছু সেরে উঠতেই হয়তো সময় লাগবে। তবে আমরা বিশ্বাস রাখি সব অঙ্গনই তার ক্ষতি পূর্ণ করে আবার জেগে উঠবে আপন শক্তিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App