×

রাজধানী

ব্যক্তি উদ্যোগে ১৭ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২০, ০৩:৩৫ পিএম

ব্যক্তি উদ্যোগে ১৭ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা

মোহাম্মদপুরে ত্রাণ বিতরণ

করোনাভাইরাস আতঙ্কে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। লকডাউন ঘোষণা করছে আক্রান্ত দেশগুলো। বাংলাদেশেও অঘোষিত লকডাউন চলছে মাসব্যাপী। তবে এমন সময়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। লকডাউনে কর্মহীন মানুষগুলো ভুগছেন খাদ্য সঙ্কটে। এমন সময়ে খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসছে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে। দেশের বিভিন্ন মহল থেকেও দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। তবে এসব সহায়তা পর্যাপ্ত কি না তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। আবার অনেকেই লোক দেখানো খাদ্য বিতরণ করছেন কি না তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। করোনার প্রভাবে খাদ্য সঙ্কটের এমন মুহূর্তে এক মাসে ১৭ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দা আলহাজ আবু সায়েম শাহিন। তার এসব সহায়তায় একটি পরিবার তিন দিন পর্যন্ত চলতে পারবে বলে জানান তিনি। যাতে করে রাজধানীসহ দেশের যেকোনো প্রান্তে থাকা অসহায়দের যেন সহায়তার আওতায় আনা যায় এজন্য করোনা সঙ্কটের শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘‘মানুষের পাশে মানুষ’’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়। হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া, ছিন্নমূল, সুবিধাবঞ্চিত, ভবঘুরে, ভিক্ষুক ও সমাজের অন্যান্য স্তরের সংকটাপন্ন মানুষকে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু মানুষ নিজেরা এসেও তার বাড়ি থেকে এই খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করছেন। এছাড়াও আবু সায়েম শাহিন বিভিন্ন সড়কে ঘুর ঘুরে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া ও অপেক্ষায় থাকা মানুষের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এছাড়াও বিশেষ করে যেসব মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার নিজেদের অসচ্ছলতা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না, এমন পরিবারকে এই সহায়তার আওতায় আনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে তাদেরকে খুঁজে বের করে বাড়িতে খদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার কেজি চাউল, ৪২ হাজার কেজি আলু, পেঁয়াজ ১৫ হাজার কেজি এবং ছয় হাজার কেজি সয়াবিন তেল ১৭ হাজার পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে। আবু শাহিন তার ব্যক্তিগত ও পারিবারি তহবিল থেকে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। করোনার সঙ্কটকাল জুড়েই ধারাবাহিকভাবে এই খাদ্য সামগ্রী সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App