×

অর্থনীতি

সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যয় কমানোর নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২০, ০১:০৫ পিএম

সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যয় কমানোর নির্দেশ

টাকা

বিশ্বব্যাপি চলছে মাহামারী করোনার ভয়াবহতা। এর প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক অঙ্গনে। প্রতিদিনই বাড়ছে এর প্রকোপ। এ মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের মানুষের জন্য প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। তাই এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যয় কমানোর জন্য ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এসব নির্দেশনা দিয়ে রোববার (৩ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এসব নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধিকতর তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। এর প্রস্তুতি হিসেবে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনাবশ্যক পরিচালন ব্যয় হ্রাসকল্পে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

নির্দেশনাগুলো হলো- ১. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অস্থাবর সম্পদ ক্রয়, অফিস স্পেস ভাড়া, সাজসজ্জা ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।

২. গাড়ি ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সার্কুলার অনুসরণ করতে হবে এবং সাশ্রয়ী হতে হবে।

৩. পর্ষদ সভাসহ অন্যান্য সভা অনুষ্ঠান, বার্ষিক সাধারণ সভা, আপ্যায়ন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় যথাসম্ভব কমাতে হবে। সভার জন্য ভেনু ভাড়া না করে ব্যাংকের কনফারেন্স রুমেই আয়োজন করতে হবে।

৪. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান ও নির্বাহীদের অনাবশ্যক বিদেশ ভ্রমণ না করা।

৫. বাৎসরিক ক্যালেন্ডার, ডায়েরি মুদ্রণ বা এ জাতীয় প্রচারণামূলক ব্যয়ে অর্থ বরাদ্দ সীমিত করতে হবে।

৬. কর্মচারীদের ভ্রমণ ও যাতায়াত ভাতা, আপ্যায়ন খরচ, স্টেশনারি, উন্নয়ন ফান্ডসহ বিবিধ খরচে মিতব্যয়ী হতে হবে।

৭. ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সভাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

৮. পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ইত্যাদি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

৯. ব্যাংকের ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করেন, তাদের অধিকতর স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করা ও যাতায়াত সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে হবে। এসব নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App