×

জাতীয়

কোয়ারেন্টাইন-আইসোলেশনে অব্যবস্থাপনা, নিম্নমানের খাবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২০, ০৯:৫০ এএম

কোয়ারেন্টাইন-আইসোলেশনে অব্যবস্থাপনা, নিম্নমানের খাবার
বৈশ্বিক দুর্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে দেশে পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকে মাঠে থেকে মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বিভিন্ন কারণে এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৯০০ পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের সংখ্যা সর্বাধিক। প্রতিদিন এই সংখা বেড়েই চলছে। তবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের নামে চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। তাদের থাকা-খাওয়া নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সর্বশেষ তথ্যমতে, গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৮৫৪ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য ৪৪৯ জন। ১ হাজার ২৫০ কোয়ারেন্টাইনে এবং ৩১৫ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন। মারা গেছেন ৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা শনিবারের চেয়ে গতকাল রবিবার ১১৩ জন বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার পর যেসব পুলিশ সদস্যের ফলাফল পজেটিভ এসেছে তাদের সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, নয়াটোলায় আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্স, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, ডেমরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেখানে অবস্থা খারাপ হলে নেয়া হচ্ছে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। এছাড়া রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকার জোনাকি, আসমা, পারাবত, রাহমানিয়া, বখশীসহ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি হোটেলে গড়ে ৪০ জনের অধিক পুলিশ সদস্য রয়েছে। কিন্তু ওই সব হোটেলের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর এবং টয়লেট অনেক দিন পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। হোটেলের ভেতরে আবর্জনা সরানোর লোক নেই। হোটেলের কোনো স্টাফ এখন আর সেখানে ডিউটি করছে না। যদিও কোয়ারেন্টাইনে থাকা সদস্যদের খাবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও কয়েকটি থানা-পুলিশ ব্যবস্থা করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নিজ ব্যবস্থাপনায় খাবার জোগার করতে হচ্ছে। কিন্তু হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। করোনার নমুনা নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেক পুলিশ সদস্যকে হোটেল থেকে বের হয়ে খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আবার রাজাররাগ থেকে যে খাবার স্কুলগুলোতে থাকা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কাছে পাঠানো হচ্ছে তাও নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, নমুনা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসায় পরিবারের সদস্যরা সংস্পর্শে এসে যাতে আক্রান্ত হন সেজন্য পুলিশ সদস্যদের পৃথক থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ অবস্থায় বেশ কয়েকটি ম্যানেজমেন্ট টিম করা হলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছাড়া উচ্চপদে কোনো কর্মকর্তা ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আবাসিক হোটেলে সরেজমিন যাননি। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন নিয়ে অব্যবস্থাপনার চিত্রও দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তার অজানা বলে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App