×

সরকার

হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার করুণ দশা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২০, ০৯:৪৫ এএম

হাসপাতালগুলোতে করোনা  চিকিৎসার করুণ দশা!

করোনাভাইরাস।

দেখা মেলে না চিকিৎসক-নার্সের, ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারই ভরসা নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও আইসিইউ ভয়ে পালাচ্ছেন রোগী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা
দেশে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানা, চিকিৎসা পাওয়া ও সুস্থ হয়ে উঠার প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে ভোগান্তি। দীর্ঘ অপেক্ষা পর কেউ কেউ নমুনা পরীক্ষার সুযোগ পেলেও অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না অনেকের। মৃত্যুর পর জানা যায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ী কোভিড-১৯। এখানেই ভোগান্তির শেষ নয়; নমুনা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টও আসছে। আর যেসব হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হয় সেখানকার অবস্থা কতটা ভয়াবহ- তা ফুটে উঠেছে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা কারো কারো বর্ণনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে কারো কারো তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা সংবলিত ভিডিও। প্রয়োজন থাক বা না থাক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (ভিআইপি) ভর্তির শুরু থেকেই সঙ্গে রাখছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর মুমুর্ষূ রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছেন না। হাসপাতালে থাকার ভয়ে আক্রান্তদের অনেকেই পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালকে ‘করোনা হাসপাতাল’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর সেখানকার অনেক পরিচ্ছন্নতা কর্মী পালিয়ে গেছেন। এমন হাজারো অভিযোগ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। এসব হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর কুর্মিটোলা, কুয়েক-বাংলাদেশ মৈত্রী ও রিজেন্ট হাসপাতাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের ভেতরে কী হচ্ছে তা দেখার মতো কেউ নেই। প্রশাসনের কেউই এই বিষয়টি তদারকি করছেন না। ফলে এসবের কিছুই জানতে পারে না প্রশাসন। যত অভিযোগ: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীদের দেখতে চিকিৎসক, নার্স কেউই আসেন না। এলেও ওয়ার্ড থেকে অনেক দূরে থাকেন। ডাকলেও তারা আসেন না। ভালো করে বুঝিয়ে ওষুধ খাওয়ার কথা বলেন না। ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারই ওই সব হাসপাতালে রোগীদের ভরসা। দূর থেকে ছুড়ে দেয়া হয় ওষুধ। খাবারও দেয়া হয় ছুড়ে। করোনা চিকিৎসায় সরকারের নির্ধারিত হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, চিকিৎসক আসেন না। অরক্ষিত অবস্থায় আমাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। ১৫ দিন তাকে থাকতে হয় সেখানে। তিনি বলেন, এই ১৫ দিনে একদিনও তিনি চিকিৎসকের দেখা পাননি। এমনকি কোনো নার্সকেও দেখেননি। দরজার বাইরে থেকে কে খাবার দিয়ে যেত তাকেও তিনি চোখে দেখেননি। বাইরে থেকে ছুড়ে দেয়া হতো ওষুধ। বিছানার চাদর, রুম পরিষ্কার করতেও কেউ আসেনি। তার মতে, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা নেই। বাসায় থাকলে বরং এর চেয়ে বেশি ভালো হতো। চিকিৎসাধীন অবস্থায় যারা মারা যাচ্ছে তারা মূলত চিকিৎসা না পেয়ে এবং অবহেলায় মারা যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সহকর্মীদের সহায়তায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহাদাত হোসেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনিও হাসপাতালে থাকার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। চরম প্রতিকূলতার মধ্যে নয় দিন ছিলেন হাসপাতালে। তার মতে, ভর্তি রোগীরা হাসপাতালে থাকেন একেবারে অভিভাবকহীনভাবে। চোখের সামনে রোগীদের মৃত্যু দেখতে হয়েছে তাকে। লাশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়ার্ডে পড়ে থাকতে দেখেছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের না আসার অভিযোগ তিনিও করেছেন। জানান, তিনি যে ওয়ার্ডে ছিলেন সেখানে একশর মতো রোগী ছিল। এত রোগীর জন্য মাত্র তিনটি টয়লেট, তিনটি গোসলখানা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার আশিকুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে। তার মতে, এক সময় কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগীদের যেভাবে সমাজ পরিত্যাগ করত, হাসপাতালে তার তেমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রথম দিন ওয়ার্ডবয় দূর থেকে তাকে বিছানার চাদর, বালিশ এসব দিয়ে যায়। সেদিন দুপুরে খেতেও দেয়া হয়নি তাকে। সম্প্রতি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাংলাদেশের খবরের সাংবাদিক এমদাদুল হক। প্রথম দিন চিকিৎসকরা এসে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গেলেও এরপর আর চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। সেখানকার চিকিৎসার মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। তিন বেলার খাবারও হাসপাতাল থেকে কিনে খেতে হয়েছে। ২২ এপিলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন সরকারি এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। আমাদের অভিযোগগুলো সরকারের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হবে, এও আমি জানি। আমি বলতে চাই, আমরা যদি অসত্যই বলি তবে তা প্রমাণ করুক। দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই কবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখেছেন আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্তদের কীভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে এমন কোন ছবি? সব বিদেশি ছবি দেখানো হয়। অভিযোগ যদি মিথ্যাই হবে, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ভিডিও করে দেখাক। সম্প্রতি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ভেতরে রোগী ও তার স্বজনদের বিক্ষোভের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ভর্তিকৃত রোগীর শ্বাস কষ্ট হলেও সেখানে তাকে আইসিইউতে নেয়ার কিংবা কী করা উচিত সেই পরামর্শটি দেয়ার মতো কেউ ছিলেন না। এক সময় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে বিক্ষোভ করে অন্যরা। ভয়ে রোগী পালাচ্ছে : এসব অব্যবস্থাপনার চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে করোনা আক্রান্ত অনেকেই শনাক্ত হওয়ার পর পালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা দিচ্ছেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এক নারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর সেই নারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির নমুনায় করোনার উপস্থিতি মেলে ২০ এপ্রিল। তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা এক ব্যক্তি জানালা কেটে পালিয়ে যান। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এমন আরো বেশ কয়েকজন রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. এম এ মোহিত কামাল মনে করেন, মানুষ তখন পালায় যখন তার কাছে বিষয়টি ভয়ের কারণ হয়। করোনা নিয়ে সব সময়ই মানুষের মধ্য একটা আতঙ্ক কাজ করে। মৃত্যুর ভয় কাজ করে। এছাড়া হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পাবে না। মনস্তাত্ত্বিক ভয়ের পাশাপাশি হাসপাতালের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালগুলোতে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না- এমন তথ্য যখন রোগী পাচ্ছে তখন সে চিকিৎসা না নিয়ে পালাচ্ছে। অভিযোগ খণ্ডনে দুই তথ্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের : হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা বলছেন, ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অনেক রোগী অভিযোগ করেন নাপা ছাড়া তাদের আর কিছুই দেয়া হয় না। কেন ইনজেকশন দেয়া হয় না। কেন অন্য ওষুধ দেয়া হয় না। একজন রোগীর কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন তা রোগী বা তার স্বজনরা নয়, চিকিৎসক বুঝবেন। আমরা সেই অনুযায়ীই রোগীর চিকিৎসাপত্র দিচ্ছি। তারা বলছেন, করোনা এটা মারাত্মক সংক্রামক রোগ। রোগীর কাছে যাওয়া বিপজ্জনক। তা অনেকেই বুঝতে চান না। পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী) পরা থাকে বলে অনেক সময় রোগী বা স্বজনরা চিকিৎসক ও নার্সের পার্থক্য করতে পারেন না। আবার ওই সব হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিরাই বলছেন, ব্যবস্থাপনায় সমস্যার পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত জনবল, পিপিই এবং অক্সিজেনের স্বল্পতা আছে। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন জানান, রোগীকে অবহেলা বা চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ তারা পেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই অভিযোগে হাসপাতালের ৬ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট: পর পর দুইবারের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তার নমুনায় ওই ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এরপর থেকেই সামনে আসে করোনার নমুনা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের বিষয়টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষায় সঠিক ফলাফল আসার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় জড়িত। যেমন নমুনাটি কখন, অর্থাৎ ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দুদিন এবং সপ্তম দিনের পর নমুনা নিলে সে ক্ষেত্রে ফলাফল অনেক ক্ষেত্রে ভুল আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে শর্ত আছে, যাদের বয়স ৫০ বছর বা অন্য দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে তাদের দেহে ভাইরাসটি দীর্ঘদিন থাকতে পারে। কোথা থেকে অর্থাৎ ফুসফুসের পানি, লালা, কফ বা নাক থেকে যে নমুনা নেয়া হয় তার ওপরও ফলাফলনির্ভর করে। ফুসফুসের পানি থেকে নমুনা নেয়া হলে সে ক্ষেত্রে ৯৪%, মুখের লালা থেকে নেয়া হলে ৪২%, কফ থেকে নেয়া হলে ৬২%, নাক থেকে যে নমুনা নেয়া হয় সেখান থেকে নেয়া হলে ৭২% সঠিক ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নমুন সংগ্রহের পর তা সঠিক তাপমাত্রায় রাখা হয়েছিল কিনা, পরীক্ষার ফলাফল সঠিকভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়টির ওপরও নমুনা পরীক্ষার সঠিক ফলাফল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। হাসপাতালে অক্সিজেন ঘাটতি, নেই আইসিইউ ইউনিট: এদিকে ওইসব হাসপাতালে রোগী সামলাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার- যা দরকার, আছে তার অর্ধেক। ঘাটতি আছে আনুষঙ্গিক সরঞ্জামেরও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১৯টি এবং দেশের ৮টি বিভাগে আরো ৬৪টি হাসপাতাল বাছাই করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাজধানীর বাইরে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৩ হাজার ২০০টি এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী (অক্সিজেন মাস্ক, ফ্লোমিটার, চাবি) আছে ২ হাজার ৭৩৯ সেট। রোগীর চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার আরো দরকার ৩ হাজার ৪৫টি এবং আনুষঙ্গিকসামগ্রী ৩ হাজার ১৮৯ সেট। কুর্র্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী ও মহানগর হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে এই ব্যবস্থা রয়েছে। অল্প সময়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তোলাও সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা জটিল হলে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থায় অক্সিজেন সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে থাকা আনুষঙ্গিক সামগ্রীর সেটের যে হিসাব দেয় তা কাগজে কলমে। বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (ভিআইপি) ভর্তি হওয়ার পরপরই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তার অক্সিজেন লাগবে কিনা, তাও নিশ্চিত নয়। অর্থাৎ আগেভাগে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছেন, যাতে লাগলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন। ফলে যার অক্সিজেন লাগবে, অনেক সময় তাকে দেয়া সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ব্যবস্থা আছে মাত্র ১৭ জেলায়। বাকি ৪৭ জেলায় এই সুবিধা নেই। ১৭ জেলায় আছে ১৭৩টি আইসিইউ বেড। ঢাকায় সরকারি পর্যায়ের ৯টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ১৪৭টি। ঢাকায় বেসরকারি পর্যায়ে ৬টি হাসপাতালে এর সংখ্যা ২১টি। করোনা প্রতিরোধে এই প্রস্তুতি যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন এ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটিও। যা বলছেন কর্তৃপক্ষ : সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তা ছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের মনোবল চাঙ্গা করতে বিভিন্ন কর্মসূচিও নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App