×

জাতীয়

এখনই ট্রেন চলবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৮ পিএম

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, সারা দেশ লকডাউনে, সব যানবাহন বন্ধ, এমতাবস্থায় ট্রেন চলাচলের বিষয়টি রেলমন্ত্রণায়ের হাতে নেই, এটি সরকারী ওপর মহলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সেকারণে কবে থেকে ট্রেন চলবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রেল ভবনে পণ্য পরিবহন বিষয়ে সচিব, ডিজি, কমারসিয়াল ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে স্বল্প পরিসরে একটা মিটিং করার চিন্তা ভাবনা করেছিলাম তা স্থগিত করা হয়েছে। তাই ট্রেন কবে থেকে চলবে তা বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী সুজন। গতকাল বুধবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো কমেনি, বরং বেড়েছে, এমতাবস্থায় সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে তা বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া একটা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি রেল চালাতে পারি না। এটির জন্য সরকারী উচ্চমহলের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করতে হয়।

তিনি জানান, যেহেতু গার্মেন্টস স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে সেরুপ রেলের যে কারখানাগুলো রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে করে কাজ করা যায় কিনা সে বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান।

মন্ত্রী জানান, আমরা বরাবরের মত কন্টেইনার ও তেলবাহি ট্রাঙ্ক চালাচ্ছি। মূলত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে এসব পরিবহন করছে রেলওয়ে। এর জন্য প্রতিদিন ৪-৬টি পণ্যবাহি গাড়ি চলাচল করছে। তবে আমি আমাদের কমারসিয়াল ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছি সারা দেশে শাক সবজি, আম,ফল, মূল মাছ এসব খাদ্য সামগ্রির যারা ব্যবসায়ী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে, যাতে করে আমরা বিশেষ ল্যাগেজভ্যানে করে এসব পণ্য পরিবহন করতে পারি। তবে এটা আগে তারা দেখবেন, যদি চাহিদা থাকে তা হলে বিশেষ পণ্যবাহি ট্রেন চালিয়ে পণ্য পরিবহন করার সিদ্ধান্ত আমাদের আছে। তাতে করে রেলেও কিছু আয় হবে আর সেবাও করা হবে। তবে তাও যে করে থেকে চালু হবে তা তিনি জানাতে পারেন নি। আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ হবে পরে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কন্টেইনার ও ওয়াগানবাহী কিছু ট্রেন চালু রয়েছে, যার জন্য অনেক স্টেশন মাস্টার ও কর্মীরা কাজ করছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কারো কোন সমস্যা হয়নি, রেলের নিজস্ব স্বাস্থ্য সামগ্রি দিয়ে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এবিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান বলেন, কবে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হবে, সেটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে আমরা প্রস্ততি নিয়ে রেখেছি, সিদ্ধান্ত এলেই যাতে চালু করা সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত ২৪ মার্চ সরকার অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণা দেয়। ওই দিনেই রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে মানুষের ঢল নামে। ২৪ মার্চ রাতেই শেষ ট্রেন চলাচল করে। পরদিন থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App