শ্রমিক ছাটাই বন্ধে সরকারের নজরদারির আহবান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০৭ পিএম
ওয়ার্কাস পার্টি
চলমান সরকারি ছুটিতে কোনো কারখানা লে-অফ, শ্রমিক ছাটাই না করার সরকারের যে ঘোষণা, তা নজরদারি করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলঅদেশেল ওয়াকার্স পার্টির পলিটব্যুরো। সোমবার দলটির পলিটব্যুরোর এক সভায় শ্রমিকদের মজুরি, বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সীমিত পরিসরে প্রাথমিকভাবে সঙ্গনিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানো এবং শুধুমাত্র ঢাকা ও কারখানার আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা চালানোর যে বিজ্ঞাপন তারা জারি করেছিলেন তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো।
সোমবার এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, গত ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ’এফবিসিসিআই’ কর্তৃক চলমান সরকারি ছুটিতে কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গার্মেন্ট মালিকদের সমিতি তাদের কারখানা খোলার ঘোষণা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ’বিজিএমইএ’ কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যেখানে বলা হলো কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিক ছাড়া দূরদূরান্তে অবস্থিত শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মোবাইলসহ নানা মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে নির্দেশ করেছেন এবং কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে মুজুরি কর্তন ও ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়েছেন। ফলে গত ৪ এপ্রিলের ন্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের উৎকণ্ঠা থেকে যে পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে তাতে সংগনিরোধবিধি ভঙ্গ হওয়ার উপক্রম এবং করোনা সংক্রমন বিস্তার হয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার শর্তে কারখানা পরিচালনার কথা বলা হলেও বাস্তবে খুলে দেয়া কারখানাগুলোতে পরিবেশ ভিন্ন। কারখানার প্রবেশমুখে ব্যক্তির তাপমাত্রা মাপা দেখানো হলেও কর্মস্থলে ব্যক্তি দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন অবস্থা নেই। বিবৃতিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গৃহীত স্বাস্থ্যবিধি ও ’আইএলও’ প্রদত্ত গাইড লাইন অনুযায়ী সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শকের স্বচ্ছ তদারকি ও পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে কারখানা পরিচালনার আহবান জানানো হয়। অন্যথায় যে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান এই বিধি মেনে চলবেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানানো হয়।