×

অর্থনীতি

সীমিত পরিসরে গার্মেন্ট খুলছে আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪২ এএম

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি চাকা‌ চলমান রাখতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে সীমিত আকারে তৈরি পোশাক খাতের কিছু কারখানা খুলছে আজ। শুরুতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের নিটওয়্যার খাতের কিছু কারখানা খুলবে। এরপর ধাপে ধাপে সাভার, গাজীপুরসহ অন্য এলাকার কারখানাও খুলবে। তবে যেসব কারখানার হাতে রপ্তানি আদেশ রয়েছে, সেসব কারখানাই প্রাথমিকভাবে খুলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তা নিয়ে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। ওই গাইডলাইন অনুযায়ী, দূরবর্তী এলাকা কিংবা ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আপাতত কারখানার কাছাকাছি থাকা শ্রমিকদের দিয়ে উৎপাদন কাজ চালানো হবে।

শর্ত সাপেক্ষে কারখানা খুলছে বলে জানিয়েছেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনায় রায়। তিনি বলেন, কারখানা খুলতে উপযুক্ত সময়ের ব্যবধানে উদ্যোক্তারা আংশিক এবং ধাপে ধাপে খুলতে হবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আজ রাজধানীর যেসব কারখানার রপ্তানি আদেশ আছে, সেগুলোর কয়েকটি খোলা হবে।

বিজিএমইএর সহসভাপতি এম এ রহিম ফিরোজ বলেন, দেশের অর্থনীতি তো টিকিয়ে রাখতে হবে। অর্থনীতির স্বার্থে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং পর্যায়ক্রমে অঞ্চলভিত্তিক অল্প শ্রমিক দিয়ে কারখানা খোলার দিকে যাচ্ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীও ধীরে ধীরে কারখানা সচল করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

মালিকপক্ষ কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও শ্রমিকসংগঠনগুলো বর্তমান করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে কারখানা চালু না করার পক্ষে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাবেক মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে দুই শতাধিক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কারখানা খুললে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। কোনো ক্রমেই কারখানা খোলা উচিত হবে না।

অবশ্য এলাকাভিত্তিক কারখানা খোলার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ। বিশেষত কোন এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ—এ ধরনের তালিকা তৈরি করছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ। শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতের দুই থেকে আড়াই শ শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অবশ্য বিজিএমইএর পরিচালক ও তুসুকা গার্মেন্টের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দীপু মনে করেন, গার্মেন্টে করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম।

শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অবশ্য বিজিএমইএর পরিচালক ও তুসুকা গার্মেন্টের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দীপু মনে করেন, গার্মেন্টে করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App