×

জাতীয়

করোনায় দিশেহারা মাদকাসক্তরা, একশ টাকার জন্যও খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২০, ১১:৩২ এএম

করোনায় দিশেহারা মাদকাসক্তরা, একশ টাকার জন্যও খুন

প্রতীকী ছবি

করোনার প্রাদুর্ভাবে মাদক ও অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রাজধানীর মাদকাসক্তরা। একে অপরকে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না তারা। রাজধানীতে ভাসমান এক মাদকাসক্তকে হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর আগেও গত ২৭ মার্চ রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে মাদকাসক্ত সজীবের (১৭) ছুরিকাঘাতে নিহত হন তার মা সুরাইয়া আক্তার (৪৫)।

রাজধানীর মগবাজার আউটার সার্কুলার রোডে মঙ্গলবার ভোরে খুন হয় রানা দাদা (৫০) নামে পরিচিত এক ছিন্নমূল ব্যক্তি। তার গলায় গুরুতর জখম ছিল। পুরো শরীর ছিল রক্তাক্ত। সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে খুনের সঙ্গে জড়িত রিপন নামের আরেক ছিন্নমূল মাদকাসক্ত ব্যক্তি। ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীমের নেতৃত্বে রমনা মডেল থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই রিপনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় রিপন।

মগবাজারে রানা হত্যার বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে পুলিশ জানায়, রানার দীর্ঘদিনের সঙ্গী রিপন। তারা ভাঙ্গাড়ি টোকাই। দুজনই মাদকাসক্ত। মগবাজার উড়াল সড়কের নিচে নেশা করে। ঘুমায়ও একসঙ্গে। রানার কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে ১০০ টাকা ধার নেয় রিপন। করোনায় সব কিছু প্রায় বন্ধ থাকায় হাত টান যাচ্ছিল তার। মঙ্গলবার ভোর রাতে নেশার টানে রিপনের কাছে পাওনা টাকা চায় রানা। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়। এরই এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে থাকা টিউব লাইট দিয়ে রানার গলায় আঘাত করে রিপন। এতে গুরুতর আহত হয় রানা। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ভোরে টহল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষণা করে রানাকে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডিএমপির রমনা জোনের এসি শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, হত্যাকারী রিপনকে ঘটনার ৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

তবে নিহত রানার পরিবারের কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। তিনি আরো বলেন, রিপনের মা আছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন মানুষের বাসায় কাজ করে খান। ১৮ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। ছেলের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ নেই। ছেলের পরিচয় দেন না। ছেলেকে মানুষ করার চেষ্টা করেছিলেন। মাদ্রাসায় ভর্তিও করেছিলেন। কিন্তু সে মানুষ হয়নি, নেশা করে বেড়ায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App