লকডাউনের ভেতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা আনসারী হুজুরের জানাজায় এতো মানুষ কীভাবে এলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজছে অনেকের। অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে, লকডাউনের ভেতরে এতো মানুষ জমায়েত করার পেছনে অবশ্যই কোন গুষ্ঠির ষড়যন্ত্র আছে। যারা সবসময় ফায়দা নেয়ার চেষ্টায় থাকে। অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণজমায়েতের পেছনে কারা জড়িত ছিলো তা নিয়ে ওয়াটসাপের একটি অডিও ফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে। যাতে,জামাতের আমির শফিকুর রহমান ফোন করেন মুফতি মাহফুজুল হককে। জামাতের আমির শফিকুর রহমান ও মুফতি মাহফুজুল হকের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয়েছে তা ভোরের কাজগ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো.. জামাতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, কি অবস্থা ওদিকের? উত্তরে মাহফুজুল হক বলেন, সবাইকে বলে দেয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ ভালো মানুষের জমায়েত হবে। শফিকুর রহমান, শুধু ভালো জমায়াত হলে হবে না। অনেক মানুষ যেন হয়, আনসারী হুজুরের জানাজা পুরো দুনিয়ার মানুষ দেখবে। লকডাউন পগডাউন পাত্তা দিয়েন না। মুফতি মাহফুজুল হক: জি সাহেব, মাদ্রাসার আশপাশের লোকজন সবাই থাকবে। শফিকুর রহমান: আমেলি সাহেবের ছেলের সাথে কথা হয়েছে, উনিও লোক দিবে লোক আসবে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের নেতাকর্মীরাও যাবে। সব মাদ্রাসায় বলেদেন সবাইকে চলে আসতে। আপনাদের মাদ্রাসায় চাপ দেন হুজুরের জানাজার সবাই যেন উপস্থিত থাকে। মুফতি মাহফুজুল হক: পুলিশ বলছে, লকডাউন চলে তাই বেশি লোক হওয়া যাবে না। শফিকুর রহমান: আরে ধুর বাদ দেন, এত লোক আসতে শুরু করলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। একটা থানা বা ফাঁড়িতে কয়টা পুলিশ থাকে। হাজার হাজার মানুষ আসতে শুরু করলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। আর আমাদের ছেলেরা তো থাকবেই। কিছু করলে ওরা সামাল দেবে। আপনারাও প্রস্তুত থাকেন। মুফতি মাহফুজুল হক: জি অবশ্যই শফিকুর রহমান: ঠিকমতো বলেন, সবাইকে আসার জন্য পুলিশ/ বিজিবি কিছুই করতে পারবেনা। এই সরকারকে একটু উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার আর বাধা দিলে সারাদেশে মতিঝিলের থেকেও খারাপ অবস্থা করব। নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রাম শহর সব জায়গায় বলে রাখছি তারা প্রস্তুত আছে। ফখরুল সাবোও জানেন বিষয়টা আর বিএনপির লোকজন থাকবে। আপনি সবাইরে ফোন দেন সবাইরে জানান। মুফতি মাহফুজুল হক, জি, আসলামু আলাইকুম। শফিকুর রহমান: ওলাইকুম সালাম। ফোনালাপ ফাঁস... https://www.facebook.com/sheikhkadirdulal/videos/2974036475989849/