উহানে তদন্তকারী দল পাঠাতে চান ট্রাম্প, চীনের নাকচ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২০, ১১:২৫ এএম
আমেরিকা ও চীন
বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। করোনা ভাইরাস কি মানুষের তৈরি? চীনের গবেষণাগার থেকেই কি ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতী জীবাণু? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা। বেজিংকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভুল করলে ফল ভুগতে হবে। এবার আরো এক কদম এগিয়ে উহানে তদন্তকারী দল পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ট্রাম্পের তদন্তকারী দল পাঠানোর দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বেইজিং। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং সাফ বলেন, এই ঘটনা যেকোনও সময়ে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই ঘটতে পারে। অন্যান্য দেশগুলির মতো চীনও এই ভাইরাসের হানায় বিধ্বস্ত হয়েছে। চীন অপরাধী নয়, বরং ভুক্তভোগী।
বিশ্লেষকদের মতে, চীন থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। এর আগে থেকেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছিল। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনকে বাগে আনতে করোনা নিয়ে শি জিনপিং প্রশাসনের ওপর চাপ বজায় রাখতে চাইছেন ট্রাম্প।
ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের থাবায় আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের। কিছুতেই মৃত্যুর মিছিলে লাগাম টানতে পারছে না প্রশাসন। তার ওপর আর্থিক সঙ্কটের সিঁদুরে মেঘ রীতিমতো বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুক। বাড়ছে বেকারত্ব, বাড়ছে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভও। বিরোধীদের অভিযোগ, শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাবের জেরেই এই অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই চীনের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোসা আরও বাড়ছে। ট্রাম্পের দাবি, আদতে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকার থেকেও বেশি।
রোজকার মতো রবিবারও হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, চীনে তদন্তে যাওয়া নিয়ে অনেক আগেই ওদের সঙ্গে কথা হয় আমাদের। আমরা চীনে যেতে চাই। কী চলছে, তা দেখতে চাই। আর এজন্য আমরা যে মোটেও আমন্ত্রিত হব না, তা হলফ করে বলতে পারি। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে আমি খুশি হয়েছিলাম। এই চুক্তি খুবই খুশি করেছিল আমাকে। তারই মধ্যে এই মহামারির সৃষ্টি হলো। আমি একদম খুশি নই।