চলনবিলে হাজার হাজার বিঘা বোরো ধান পেঁকে সোনালী রুপ ধারণ করছে। কৃষকরা অপেক্ষা করছেন কখন ধান কাটতে পারবেন। করোনার কারণে শ্রমিকের অভাবে দিশেহারা কৃষকরা। ঠিক সেই সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান, করোনা প্রতিরোধ স্বেচ্ছাসেবী কমিটির ৪৫ জন সদস্যের মাধ্যমে শ্রমিকদের আইডি কার্ড সংগ্রহ করি। পর্যায়ক্রমে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শারীরিক ফিটনেস দেখে বাছাই করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতামুলক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিজস্ব যানবাহনে চলনবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেয়া হবে ধান কাটার জন্য। এতে করে মালিক শ্রমিক সবারই সুবিধা হবে। ইতোমধ্যেই ৫ শতাধিক শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে দুই হাজার শ্রমিক কাজ করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকরা এমনিতেই হতাশায় ভুগছেন। এদিকে ঝড়সহ শিলা বৃষ্টির ভয়ও রয়েছে। এ কারণে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাসহ সুরক্ষামুলক সামগ্রী সরবরাহ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।