লক্ষ্মীপুরের রামগতি-রামগঞ্জ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে করোনায় আক্রান্ত রোগী। ফলে বেড়েছে ঝুঁকি। লকডাউন পুরো জেলা। এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের লোকজনের চরম দুর্দিন যাচ্ছে। কষ্টে আছেন মধ্যবিত্তরাও। তাদের কথা চিন্তা করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) থেকে তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে বেগুন, টমেটো, কুমড়া, চিচিঙ্গা, শসা, কাঁচামরিচ, ধনিয়াপাতাসহ বিভিন্ন রকমের সবজি বিতরণ করেন।

একই সময় তিনি সদর উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নে বিরতরণ করেন ৫ হাজার ব্যাগ খাদ্যসামগ্রী। বিতরণ করছেন মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার । তাছাড়া সুরক্ষা পোশাকসহ ভিন্ন উপকরণ দিয়ে চিকিৎসকদের সহযোগিতা করেছেন। তার উদ্যোগে উপজেলায় চালু করা হয় ‘ডাক্তার যাবে বাড়ি’ নামে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। এসব উদ্যোগের কারণে চেয়ারম্যান টিপু স্থানীয়দের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ আবার তাকে ‘মানবিক চেয়ারম্যান’ বলেও ডাকেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি আমার নিজস্ব তহবিল থেকে এসব সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এসব কার্যক্রম সামনেও অব্যাহত থাকবে।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাছেল বলেন, এসব কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। টিপু ভাই মধ্যবৃত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য হেল্প লাইন চালু করেছেন। হেল্পলাইনের মাধম্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫০০ ব্যাগ খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া তার উদ্যোগে ৫০% ছাড়ে ভ্রাম্যমাণ নিত্যপণ্য বিক্রির দোকান চালু করা হয়েছে। সেখানে পণ্যক্রয়ে অক্ষমদের মধ্যে বিনামূল্যে পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।