সরকার দেশের মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে মালদ্বীপে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা গত পরশুদিন ও দেখলাম নৌবাহিনীর একটি জাহাজ একশ টন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মালদ্বীপে চলে গেছে। অথচ আমার এখানে মানুষ দু’মুঠো চালের জন্য একটু ডালের জন্য রাস্তায় আজকে শুয়ে পড়েছে। ক্ষুধায় মানুষ হিংস্র হয়ে যায় সে অবস্থার দিকে সরকার দেশকে ঠেলে দিচ্ছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যৌথ উদ্যোগে ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের মাঝে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট পিপিই বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, আজকের এই মানবসেবাধর্মী ছোট্ট এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত ধন্য মনে করছি। কারণ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যেটা বিএনপি'র একটি সহযোগী সংগঠন তারা সব সময় বন্যা, দুর্যোগ অন্যান্য রোগাক্রান্ত খরা কবলিত সময় তারা নিয়মিত যে কার্যক্রম করেন আজকের বিশ্বব্যাপী এই দুর্যোগের সময়ও সেই কর্মকাণ্ড তারা আরও সম্প্রসারিত করেছেন। আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজেদেরকে নিয়োগ করেছেন। এজন্য দেশবাসী প্রেরণা পাচ্ছে।

[caption id="attachment_215715" align="aligncenter" width="300"] ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের মাঝে পিপিই বিতরণ[/caption]

তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা সংকটে দুর্যোগে জাতির পাশে এসে দাঁড়ায়। পাশাপাশি এখন শাসন ক্ষমতায় যারা আছে তারা জাতির দুর্যোগে মহাচোরের উৎসবে মেতে ওঠে লুটপাটে মেতে ওঠে। দায়িত্বহীন মন্ত্রীদের কারণে সাধারণ মানুষ আরো ভীত এবং শঙ্কিত।

সাবেক সংসদ সদস্য আলাল বলেন, আমরা জানি সারা বাংলাদেশের বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে এমনকি সরকারি মেডিকেলে ও পিপিপি যেটা সেটার ব্যাপক সংকট। কিন্তু আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাকি এখন আমাদের কাছে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট চাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি, আমাদের পর্যাপ্ত আছে। আমরা বিদেশেও রপ্তানি করতে পারি। দেশের মানুষকে মেরে বিদেশে রপ্তানি করার অভ্যাস তাদের আছে, প্রভুদের খুশি করার জন্য।

তিনি বলেন, আজকে ফ্রন্টলাইনে যারা যুদ্ধ করছেনতারা হলেন আমাদের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তার প্রমাণ ডাক্তার মইনুদ্দিন, তারপর প্রমাণ আরো অনেক ডাক্তার-নার্স। নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি যারা সরকারের চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত তারাও সমালোচনা করে সেই নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে।আমরা যদি ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধাদেরকে সুরক্ষা দিতে না পারি আমাদের জন্য সামান্যতম কোন সুরক্ষা নাই। এই কথাটি যত তাড়াতাড়ি সরকার বুঝবে ততো তাড়াতাড়ি আমাদের ভালো হবে।

অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ড্যাব কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাব এর সভাপতি ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মনিটর ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, যুগ্ম মহাসচিব পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।