×

সারাদেশ

বিপাকে দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৩০ পিএম

বিপাকে দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকরা
তিন মাসের বিল বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতরের জীবন যাপন করছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঐহিত্যবাহি জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারীরা। মিল সূত্রে জানা গেছে. স্থায়ী ও অস্থায়ী মৌসুমে চুক্তির ভিত্তিতে ৮’শ ৮৭জন শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। গত আখ মাড়াই মৌসুমে ৫হাজার ১৫৩ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে মিলটিতে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জিল বাংলা সুগার মিল এলাকায় শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের দুর্দশার কথা জানা যায়। স্থায়ী মিল শ্রমিক পাম্প ড্রাইভার বিল্লাল মিয়া জানান. পায়ের ঘাম ফেলে সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হয়। তিন মাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। স্থায়ী শ্রমিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান. সরকারের টাকার অভাব নাই। মিলের চাষী ও শ্রমিকদের বেলায় টাকা থাকে না। আজ সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আগে মিল বাজার থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাকি নিয়েছি। চলতি মাসসহ ৪মাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ না করাতে দোকানদার বাকি খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে যে হারে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাইতেছে এই মহুর্ত্বে অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার অভাবে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। জিল বাংলা সুগার মিলের ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম জানান. শ্রমিকদের চার মাসের বেতন বকেয়া রাখায় পরিবার সন্তান নিয়ে অনাহারে দিন যাবৎ করছে শ্রমিকরা। করোনার কারণে কেউ কোথাও ধার দেনা করতেও বাহির হইতেছে না। তাই শ্রমকিদের জীবন যাত্রা উন্নয়নের লক্ষে প্রধান মন্ত্রী ও শিল্প মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। জিল বাংলা সুগার মিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলী জানান. সব মিলের বকেয়া জমে আছে। তাছাড়া অনেক সমস্যা মাথায় নিয়ে চলছে এই মিলটি। করোনা সংক্রমন পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকায় তাই শ্রমিকদের বেতন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। সরকারি ছুটি শেষ হলে বেতন দেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App