×

সারাদেশ

কলাপাড়ায় থমকে গেছে মধ্যবিত্তের জীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২০, ০৪:০১ পিএম

কলাপাড়ায় থমকে গেছে মধ্যবিত্তের জীবন

ফাইল ছবি

ঘর হতে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া সাধারন মানুষগুলো। লকডাউনে থেমে গেছে তাদের কর্মপ্রবাহ। নিত্যদিন যারা জীবিকা নির্বাহ করতো তারা অসহায়ত্বের মতো জীবন কাটাচ্ছেন। লোকলজ্জার ভয়ে ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে পারছেন না। পেটে ভাত নেই তবুও সামাজিকতার ভয়। নিবৃত্তে কাঁদছেন একমুঠো ভাতের জন্য।

এমনই একজন হলেন কলাপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা রোজিনা বেগম। স্বামী সাইদুল ইসলাম শ্রমজীবি মানুষ। কাজ করেন বরিশাল শহরে। লকডাউনে আটকে আছেন বরিশালে।

রোজিনা বাসায় বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে যে টাকা পেতেন তাই দিয়ে কোনমতে দিনতিপাত করতেন। তার সর্বনাশ ডেকে আনে করোনা। তার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে যা ছিল তাই দিয়ে কিছুদিন কাটালেন। এখন অভাব যেনো তার ঘাড়ের উপর উঠে বসেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের রহমতপুর এলাকার কদম মৃধা বাড়ির পাশে লায়লা মঞ্জিলের একটি ছোট্ট ঘরে মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়ায় থাকেন রোজিনা বেগম। জানা যায়, অভাবের কারনে গত দুইমাস যাবৎ ঘড় ভাড়াও পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। যদিও ভাড়িওয়ালা এখন পর্যন্ত ভাড়া টাকার জন্য কিছু বলেনি তবুও চিন্তা তো মাথায় থেকেই যায়। তদুপরি, এখন ঘরে খাবার না থাকায় পাশবর্তী ভাড়াটিয়ারা সহযোগীতা করে চালাচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে।

অসহায় রোজিনা জানান, আমি বাড়ি বাড়ি কোরআন শিক্ষা দিয়ে যে হাদিয়া পেতাম তাই দিয়ে কোনমতে দিন কাটাতাম। করোনার কারণে আমার সে পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমি খুবই অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছি।

আনছারি জানান, আমরা অনেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। সরকারের ত্রাণ তহবিল হতে কিছু সহায়তা পেলেও কিছুটা ভালো থাকতে পারতাম।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, কলাপাড়ায় এমন কোন অসহায় মানুষ থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি নিজ দায়িত্বে খাবার পৌঁছে দিব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App