×

সারাদেশ

ত্রাণ পাচ্ছেন না ঝিনাইগাতীর কর্মহীন শ্রমজীবীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০২:০৪ পিএম

ত্রাণ পাচ্ছেন না ঝিনাইগাতীর কর্মহীন শ্রমজীবীরা

ঝিনাইগাতীতে ত্রাণ পাচ্ছেন না শ্রমজীবীরা

শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষেরা। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী শতশত মানুষ ঘরে বন্দি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ লোকের বসবাস। এদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী।

স্থানীয় স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত প্রায় ২০ দিনের টানা লকডাউনের কারণে এসব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। তারা এখন রয়েছে চরম বিপাকে। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে শতশত মানুষ।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোচ সম্প্রদায়, বেদে পল্লীর বাসিন্দা, আশ্রয়ন ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা, পরিবহন শ্রমিক, সিএনজি ও রিকশা চালক, রাজ ও কাঠ মিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে বেশি বিপদে।

সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম, হাট বাজার ও পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে কর্মহীন এসব মানুয়ের আহাজারি। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন শুরু হবার পর কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ মেট্রিকটন করে জিআর এর চাল পেয়েছেন তারা। যা ৫ থেকে ৬ শ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছ। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে এখানে উল্লেখযোগ্য কেউ কর্মহীন মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিলেও এ উপজেলার মানুষের পাশে কেউ আসেনি বললেই চলে। জানা গেছে, সংসদ সদস্য একে এম ফজলুল হক ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, সরকারিভাবেই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত কোনো কিছু নেই

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম এ ওয়ারেজ নাইম বলেন, ত্রাণের কোনো সংকট বা সমস্যা নেই। তিনি বলেন, সরকারিভাবে পাওয়া চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তার পক্ষ থেকেও বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, এলাকার কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। তার ব্যক্তি উদ্যোগে হলেও সকলের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহামুদ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৫০ মেট্রিকটন চাল ও দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ৭ ইউনিয়নে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ৩৫ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App