×

জাতীয়

প্রতিদিন দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৩২ এএম

প্রতিদিন দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমণ

করোনা ভাইরাস

পরীক্ষা সেবা সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকেই দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৫ দিনের আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী ১ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩ জন। ২ এপ্রিল নতুন আক্রান্ত হন ২ জন। ৩ এপ্রিল নতুন সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায় ৫ জনের। ৪ এপ্রিল নতুন আক্রান্ত হন ৯ জন। গতকাল ৫ এপ্রিল এ সংখ্যা উন্নীত হয় ১৮ জনে। নতুন করে যারা সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই আগের নির্ধারিত ক্লাস্টারভিত্তিক (আগেই আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন) এলাকার বাসিন্দা। ওই ক্লাস্টারগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ, টোলারবাগসহ বৃহত্তর মিরপুর, বাসাবো ও মাদারীপুর। গতকাল রবিবার দুপুরে করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কী সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন সে প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন, বাসাবোতে ৯ জন, টোলারবাগে ৬ জন, পুরো মিরপুরে ৫ জনসহ মিরপুরে ১১ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। এ নিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৮৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৯। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরো তিনজন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন।

আইইডিসিআর পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এর মধ্যে আইইডিসিআরের ল্যাবে ১৩ জন এবং অন্যান্য হাসপাতালের ল্যাবে ৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ১৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী। ১২ জন ঢাকায়, ৫ জন নারায়ণগঞ্জে এবং একজন মাদারীপুরে শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সী ২ জন। মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আরো ১০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং তিনজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও তাদের মধ্যে ৩৩৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকায় ফিরে আসায় ঝুঁকি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটি অবশ্যই ঝুঁকি বাড়াবে। তাদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত কিনা তা আমরা জানি না। তারা যেভাবে ভ্যানে ও ট্রাকে গাদাগাদি করে এসেছেন তা মোটেও ঠিক হয়নি। তারা সবাই মাস্ক পরেছিলেন কিনা সেটিও আমরা জানি না।

পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কতটা সক্ষমতা আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে এর চেয়ে ব্যক্তি সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। সামাজিক দূরত্বের কথা যে বলা হচ্ছে, তাতে যদি আমরা সবাই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করি তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ একা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App