×

খেলা

রমজানে ক্রিকেট ছাড়াই বেতন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৫০ পিএম

রমজানে ক্রিকেট ছাড়াই বেতন

ফাইল ছবি।

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ক্রিকেট খেলার অনুমতি দিচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাশাপাশি ক্রিকেট অনুষ্ঠিত না হলেও খেলোয়াড়দের বেতন না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা ঘরে বসে থেকেই বেতন পাবেন।

বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রভাব প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। যে কারণে সব ধরনের ক্রিকেট খেলাই এখন বন্ধ পাকিস্তানে। তার ওপর দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান মাস। রোজার মধ্যে দেশটিতে কোনো ধরনের ক্রিকেট টুর্নামেন্টই হবে না। পিসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আয়োজকরা রমজান মাসে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায়। তারা এনিয়ে ছাড়পত্রের বিষয়ে পিসিবি’র কাছে অবস্থান জানতে চেয়েছে। এই মুহূর্তে নিজেদের নীতিমালা মেনে চলাই হবে যৌক্তিক। যেখানে বলা আছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে সব ধরনের ক্রিকেট আয়োজন বন্ধ থাকবে। এ কারণে রমজান মাসে ক্রিকেট খেলার জন্য পিসিবি কোনো ধরনের অনাপত্তিপত্র দিবে না।

অন্যদিকে করোনা সঙ্কটের মাঝেও ক্রিকেটারদের বেতন না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাদের দেখাদেখি পিসিবিও তাদের ক্রিকেটারদের বেতন কাটছাঁট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে পিসিবি জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ক্রিকেটারদের কোনো বেতন কাটা হবে না।’

তবে শারীরিকভাবে ফিট না হলে ক্রিকেটারদের বেতন কাটার যে ঘোষণা ছিল পিসিবির তা বহাল রয়েছে। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে কঠোর পিসিবি। পাকিস্তান জাতীয় দলের কন্ডিশনিং কোচ ইয়াসির মালিকের অধীনে স্থূলতা, শক্তি, দীর্ঘস্থায়িত্ব, গতির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও ক্রসফিট-এর প্রতিটি পরীক্ষাতেই ন্যূনতম পাশ পার্ক পেতে হয় ক্রিকেটারদের । কেউ ব্যর্থ হলেই তার মাসিক বেতনের থেকে ১৫ শতাংশ কেটে রাখা হবে এবং যত দিন পর্যন্ত ফিটনেসে সন্তোষজনক ফল আনতে পারবেন না এ জরিমানা চলতেই থাকবে। আর ফিটনেস টেস্টে টানা ব্যর্থ হলে খেলোয়াড়দের বর্তমান ক্যাটাগরি থেকে নিচু স্তরে পাঠিয়ে দেওয়ারও শাস্তি পেতে হবে। অর্থাৎ বাবর আজম যদি ফিটনেস টেস্টে বারবার ব্যর্থ হন, তবে ক্যাটাগরি ‘এ’ থেকে তাঁকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেবে পিসিবি।

এ ব্যাপারে পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগের পরিচালক জাকির খান বলেছেন, খেলোয়াড়দের ফিটনেসে নজর রাখার ব্যাপারে সব সময়ই জোর দেয়া হয়েছে। এবার আমরা শাস্তির বিষয়টিও রেখেছি, যেটা খেলোয়াড়দের চুক্তিতেই বলা ছিল। আমরা চাই খেলোয়াড়েরা বছর জুড়েই ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন থাকুক, এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল হোক। একজন পেশাদার অ্যাথলেটের জন্য ফিটনেস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সব খেলোয়াড়কেই তাদের কাছে পিসিবির চাওয়া এবং এতে ব্যর্থ হলে কী হতে পারে সেটা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পিসিবি বলেছে, কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও চালু করবে তারা। বিগত ৬ ও ৭ জানুয়ারি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ সব খেলোয়াড়ের ফিটনেস পরীক্ষা নেয় বোর্ড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App