ফুটবলার সাবিনার বাড়িতে হামলা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৪:৪৯ পিএম
ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে সব ধরনের খেলা স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু এখন খেলা নেই তাই খেলোয়াড়রা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় সাবিনা ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের পলাশপোল সবুজবাগে তার বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা এ হামলার চালায়। এতে আহত হয়েছেন সাবিনা, তার বোন সালমা খাতুন ও বাবা সৈয়দ আলী। তবে বোন সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাদালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সবুজবাগ এলাকার ইমন হোসেন ও লতা বেগম নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
সাবিনার বাড়িতে হামলার বিষয় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের বাড়ির সামনে এসে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী ইমনের নেতৃত্বে উক্ত চার জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি সোটা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় সাবিনার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাদের নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড় ও ঘুষি মেরে জখম করে। এরপর সাবিনা ও সালমা তার বাবাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তারা তাদের উপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা সালমার মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারলে তারা মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীরা এসে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাবিনা ও তার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি ফিরলেও তার বোন সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয় সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে উক্ত চার জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আমরা দুজনকে গ্রেফতার করেছি এবং বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।