ভারতে আটক ১২ বাংলাদেশি তাবলীগকর্মী, আক্রান্ত ২
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০৩:৪৪ পিএম
উত্তর প্রদেশের শ্যামলী মসজিদ
হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ ঠাকর
গত মার্চ মাস জুড়েই ভারতের মারকাজ নিজামুদ্দিনে অনুষ্ঠিত তাবলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভারতে চলছে আতঙ্ক। মাসব্যাপী ওই তাবলিগের সমাবেশে অংশ নেয়া অনেক তাবলীগকর্মীদের শরীরেই পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস। এ নিয়ে বিপাকে আছেন মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ। শুধু ভারতীয় নয়, অনেক বিদেশি নাগরিকও ছিল মারকাজে।
এ জমায়েতে অংশ নেয়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। ইতোমধ্যে ২ জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছেও বলে জানা গেছে। আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা সবাই পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন—এবং ভিসার শর্ত ভেঙে তারা ধর্মীয় প্রচারণা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। তাদের কারও ভিসার মেয়াদও এর মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। এই কারণেই আটক ১২জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে থানা ভাওয়ান পুলিশ স্টেশনে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস ) নেতা রাজ ঠাকরে ভারতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য সরাসরি তাবলিগ কর্মীদের আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতে এদের সোজা গুলি করে মারা উচিত। এমনকি এই অসভ্য লোকগুলোকে কোনও চিকিৎসাও দেওয়াও উচিত না!’
[caption id="attachment_213409" align="alignnone" width="700"] হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ ঠাকর[/caption]
জানা গেছে সমাবেশ থেকে বের বাংলাদেশি নাগরিকরা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চিল্লা’ বা ধর্মীয় প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। উত্তর প্রদেশের শামলি জেলার একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে ওই মসজিদ থেকে উদ্ধার করে কোয়ারেন্টিনে আটক করে রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একদিকে গোটা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস, তার দায় চাপছে অনেকটাই তাবলীগ জামায়াতের কর্মীদের ওপর। এ নিয়ে তাবলীগের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে ভারতে। এভাবে চলতে থাকলে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গায়ও রূপ নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। অপরদিকে রাজ ঠাকুরের এমন মন্তব্য আরও জেন সাম্প্রদায়ীক উস্কে দেয়ার মতো ইন্ধনের জোগান দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছ, আটক তারা সবাই ভাসিন গ্রামে তাবলিগের একটি মসজিদে লুকিয়ে ছিলেন। তাদের অনেকের মধ্যেই জ্বর-কাশি বা করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গও ছিল।’ শুক্রবার সন্ধ্যায় এদের দুজনের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এদের সবাইকেই গত তিন-চারদিন ধরে থানা ভাওয়ান শহরের সরকারি কলেজ বিল্ডিংয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’