সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন।
রবিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আক্রান্ত ও মৃতব্যক্তির বিস্তারিত তুলে ধরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এর মধ্যে আইইডিসিআরে ১৩ জন এবং অনান্য হাসপাতালে ৫ জন শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের ১৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী। এর মধ্যে ১২ জন ঢাকার, ৫ জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন মাদারিপুরের। আক্রান্তদের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সী আছেন দুজন। মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রসঙ্গে আইইডিসিআর পরিচালক জানান, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন, বাসাবোতে ৯ জন, টোলারবাগে ৬ জন, পুরো মিরপুরে ৫ জনসহ মিরপুরে ১১ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ওই ক্লাস্টার ভিত্তিক এলাকার বাসিন্দা।
পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় সেক্ষেত্রে প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কতটা সক্ষমতা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার এবং অনান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তিসচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। সামাজিক দূরত্বের কথা যে বলা হচ্ছে তাতে যদি আমরা সবাই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করি তবে স্বাস্থ্য বিভাগ একা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, আইসিইউ’র সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পিসিআর মেশিনের ঘাটতিও নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।