×

বিনোদন

‘ভাবছি কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৫১ এএম

‘ভাবছি কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়’

কুসুম সিকদার

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্য সবার মতো নিজ ঘরে বন্দি জীবনযাপন করছেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। কিন্তু কেমন করে কাটছে তার করোনাকালীন দিনরাত্রি এ বিষয়ে জানতে গতকাল মুঠোফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। কথা বলেছেন রাব্বানী রাব্বি

করোনাকালীন দিনগুলোতে কেমন আছেন? এমন দিনে কেমন আর থাকব! আপনি যে রকম আমিও সে রকম।

ঘরে কীভাবে সময় কাটছে? ঘরের সব কাজ করছি। আগে তো কাজের ভুয়া ছিল। এখন নেই। সুতরাং ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, ঘরের ফার্নিচার মোছা; সবকিছু করছি। নিজেই রান্না করছি।

সময়টাকে আপনি ঘরের কাজ করে কাজে লাগাচ্ছেন? কাজে লাগানো ঠিক না। কাজ না করে তো উপায় নেই। এটা করতেই হবে। না খেয়ে তো থাকতে পারব না, খেতে হবে। নোংরা-ময়লা জামা-কাপড়ে থাকতে পারব না, কাপড় ধুতে হবে। তবে এসব করতে খারাপ লাগছে না, বরং আরো ভালো লাগছে। সচরাচর এত কাজ করা হয় না।

এমনিতে নাটক-সিনেমা দেখছেন? লকডাউন শুরুর পর থেকে নাটক-সিনেমা দেখা হয় না। শুধুই খবর দেখা হয়; টেলিভিশন এবং অনলাইনে খবর দেখা হয়। সত্যি কথা বলতে কী, চাইলে সিনেমা কিংবা নাটক দেখাও যেত; কিন্তু এই মুহূর্তে আসলে নাটক-সিনেমা দেখার মানসিকতাটা নেই। বিনোদনধর্মী কোনো কিছু করার মানসিকতা এখন নেই। বরং আরো ভাবছি কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়।

ইতোমধ্যে ডাক্তারদের পিপিই দিয়েছেন, অসহায় গরিব মানুষদের জন্য কি কিছু করার চেষ্টা করছেন? হ্যাঁ, এ সবই ভাবছি। আল্লাহ যদি চান, ইনশাল্লাহ এখানেই শেষ নয়। গরিবদের জন্যও কিছু করব। কারণ বাসার সামনে কিংবা বারান্দায় দাঁড়ালে এ সবই দেখি যে, মানুষ না খেয়ে বেড়াচ্ছে, শিশুরা খাবার পাচ্ছে না; করোনা ভাইরাসের একটা আতঙ্ক, তারপর মানুষের এমন দুর্দশা। সবমিলিয়ে আমার মনটাও আগের মতো আর নেই এই সময়ে। এজন্য বিনোদনমূলক কোনোকিছু দেখার ইচ্ছে করে না। আর গরিব-দুঃখীদের মাঝে যারা ত্রাণ পাচ্ছে না বা কোথাও চাইতে পারছে না, কিন্তু গরিব এমন আছেন; তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি।

সিনেমায় আবার আপনাকে কবে দেখা যাবে? আমি তো ‘শঙ্খচিল’র পরে আর কাজ করিনি। ২০১৮’র পরে আর নাটক-সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি। ২০২০ শুরু হলো ঝামেলা দিয়ে। আসলে উত্তর হলো, ‘জানি না’। পরিস্থিতি ঠিক হলে হয়তো আবার কাজ করা হবে।

পাঠক বা আপনার ভক্তদের কিছু বলেন... এই বর্তমান সময়টাকে নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে বলব। কারণ এই অসুখটা কী রকম? আমি ঘর থেকে বের হলাম, আক্রান্ত হলাম; বলতে পারতাম আমার হয় হোক তোমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু এ অসুখটা সে রকম না। একজন আক্রান্ত হলেই পুরো ফ্যামিলি ঝুঁকিতে। যারা আশপাশে আছে সবার হবে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই ভাবতে হবে তার আপনজন-প্রিয়জনদের কথা। নিজে সচেতন থেকে প্রত্যেকেরই এ ভাইরাসে সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া, সবাইকে ঘরেই থাকতে বলব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App