×

জাতীয়

কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েই খালাস ১৪ দলের নেতারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১০:৩৮ এএম

কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েই খালাস ১৪ দলের নেতারা

করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এ ঘরেই সময় কাটাচ্ছেন ১৪ দলের নেতারা। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তারা। তবে নেতাদের দাবি ঘরে বসেই ফোন, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আর তাদের নির্দেশ মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তৃণমূল কর্মীরা। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রয়োজনীয় খাবার, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। অবশ্য কোথায়, কখন, কীভাবে ১৪ দলের এই ‘ত্রাণ বিতরণ’ কর্মসূচি চলছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি নেতারা।

সূত্রমতে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই নিয়মিত বৈঠক ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম নেই। আর বৈশ্বিক এই মহামারিতে জোটের কোনো ‘পারফরমেন্স’ নেই বললেই চলে। কাজে আসছে না হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নেতাদের প্রেসরিলিজ সর্বস্ব নির্দেশ। অন্যদিকে প্রত্যেকেই সাধ্যমতো নিজেদের দলীয় ব্যানারে কাজ করছেন।

তবে এমন অভিযোগ মানতে রাজি নন শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিবিড়ভাবে মানুষের পাশে থাকতে হবে দলীয় নেতাকর্মীদের সে নির্দেশনা দিয়েছে ১৪ দল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডির বাসভবন থেকে টেলিফোনে দেশের সব জেলা-উপজেলায় নেতাকর্মীদের এ নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। দলীয়ভাবে অসহায়, দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় নেতাদের ওই নির্দেশনা মেনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। সংকট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৪ দল মানুষের পাশে থাকবে।

১৪ দল নেতাদের দাবি, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি ও দলীয় যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে দলীয়ভাবে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি, বিনামূল্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবানসহ করোনা প্রতিরোধমূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। মতলববাজ ও গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ নাসিম ভোরের কাগজকে বলেন, করোনা ভাইরাসে জমায়েত এড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকাভিত্তিক সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৪ দল মনে করে এখন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চেয়েও বেশি প্রয়োজন খাবার। এ জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তাদের এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নাসিম বলেন, এখন আর রাজনীতি নয়। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করাই এখন মহারাজনীতি। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। এখন শ্রমজীবী, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোই রাজনীতি।

জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ভোরের কাগজকে বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তো ১৪ দলের সবাইকে একসঙ্গে বসে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা ফোন, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে এলাকাভিত্তিক জনগণের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ১৪ দলের নেতাকর্মীরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় জনগণের পাশেই রয়েছেন।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বৈশ্বিক এই সংকটে আমাদের দেশের জনগণের নিরাপত্তামূলক ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় রয়েছেন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা। এই মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে সচেতনতা ও অতি দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বিতরণ। আমাদের জোটের নেতাকর্মীরা এই দুটি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমরা সতর্ক রয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App