×

আন্তর্জাতিক

লকডাউন বিশ্বে কার্বন কমছে

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০১:৪০ পিএম

লকডাউন বিশ্বে কার্বন কমছে

কার্বনের মাত্রা বাড়ায় কল-কারখানায়

লকডাউন বিশ্বে কার্বন কমছে

করোনার প্রভাবে স্থবির পুরো বিশ্ব। অচল অর্থনীতির চাকা। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও বন্ধ রয়েছে। ঠিক এই সময়টায় জলবায়ু বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন। তারা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই বছরে কার্বণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেতে পারে।

গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের সভাপতি রব জ্যাকসন অনুমান করছেন, কার্বন নির্গমনের মাত্রা বছরে পাঁচ শতাংশের বেশি কমবে। এর আগে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এক দশমিক চার শতাংশ কমেছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যাকসন বলেছেন, এ বছর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে পাঁচ শতাংশের বা তার বেশি হ্রাস দেখলেও আমি হতবাক হবো না। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এড়াতে বিজ্ঞানীরা বিশ্বজুড়ে সরকারদের সতর্ক করে আসছিলেন। তারা ২০২০ সালের মধ্যেই কার্বণ নির্গমণের মাত্রা কমানোর তাগিদ দেন।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যে কার্বণ নিঃসরণ তা গোটাবিশ্বের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি বহু মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে। বৈশ্বিক জরুরি ব্যবস্থা জারির ফলে কলকারখানা ও বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকেই ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি।

বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বণ ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বেশি রয়েছে। করোনার ফলে যতোটুকু হ্রাস পাচ্ছে করোনা চলে গেলে কার্বণের ব্যাপারে উদাসীন হলে তা আমাদের জন্যই ভয়াবহ হবে। তাই অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। করোনাকালে শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীনে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ২৫ শতাংশ কমে গেছে। দেশটির কলকারখানা বন্ধের ফলে কোনো রকম অবকাঠামো পরিবর্তন ছাড়াই এটি হ্রাস পায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর প্রথমবারের মতো কার্বন নির্গমন হ্রাসের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ফলে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App