×

মুক্তচিন্তা

পরিস্থিতি মোকাবিলায় একজন ‘অভিভাবক’ প্রয়োজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ১০:০৬ পিএম

সব প্রতিরোধ-উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে অবিশ্বাস্য গতিতে বিস্তার লাভ করছে করোনা ভাইরাস ঘটিত রোগ কোভিড-১৯। সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ অতিক্রম করেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। উন্নতির শিখরে দাঁড়িয়ে থাকা দেশগুলোর অসহায়ত্ব দেখলে ভয়ে যে কারো আত্মা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। এতদিন যারা আকাশছোঁয়া উন্নতিতে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিল, তারাই আজ কতটা বিপর্যন্ত। সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা খাতের ঔদাসিন্য করোনা ভাইরাস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আরো একটা বিষয় স্পষ্টত বোঝা গেল, দেশ পরিচালনা যেসব সরকার দক্ষ তারাই এ মহামারি মোকাবিলায় মোটামুটি সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের তিন মাসের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে যতটুকু বোঝা গেল, বিজ্ঞানীদের সব ধারণাকে রাঙাচোখ দেখিয়ে এর জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে প্রায় তিনশ বারের অধিক। তাই এর নাগাল পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। কোথায় গিয়ে থামবে, সে সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব না হলেও গবেষকরা নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে গাণিতিক মডেলে যেসব সংখ্যা উল্লেখ করছেন, তা পিলে চমকানো তো বটেই। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লেও এতদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠার পর, অর্থাৎ খোদ নিউইয়র্ক শহর মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে দেখে গত ৩১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য করোনাবিরোধী যুদ্ধ ‘বেদনাময়’ হয়ে উঠতে পারে। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের তৈরি করা একটি প্রস্তাবিত মডেল সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে হোয়াইট হাউস করোনা ভাইরাস কো-অর্ডিনেটর ডেবোরা ববার্কস বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক গাইডলাইন মেনে না চললে ২২ লাখ লোকের মৃত্যু হতে পারে। মৃতের সংখ্যা মধ্য এপ্রিলে সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, মানুষ কী এই করোনা ভাইরাসের কাছে পরাভব মানবে? একেবারেই নতুন এবং অদৃশ্য এক শত্রæর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষই জয়ী হবে। কোনো বিপদই সাধারণত নোটিস দিয়ে আসে না। করোনাও আকস্মিকভাবেই আঘাত হেনেছে। তাই একে মোকাবিলার ধরন বা কৌশল নিয়ে হতচকিত ভাব থাকাই স্বাভাবিক। সংকটের ব্যাপ্তি ও গভীরতা বোঝার সক্ষমতাও সবার ছিল না হয়তো। যেহেতু এর প্রতিষেধক নেই, আগে কোনো ওষুধও আবিষ্কৃত হয়নি, তাই করোনাকে ঠেকিয়ে রাখার কৌশলই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছেন। করোনা মোকাবিলার এখন পর্যন্ত কার্যকর উপায় হলো মানুষে মানুষে শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। এই রোগ মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এক মানুষের থেকে আরেক মানুষ তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চললে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। রোগ প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্বের ধারণাও কিন্তু একেবারে নতুন নয়। ১৯১৬ সালে নিউইয়র্কে পোলিও মহামারি রূপে ছড়িয়ে পড়লে, তখনো যাবতীয় জনসমাবেশ ও বৈঠক স্থগিত করা হয়েছিল। বন্ধ ছিল সিনেমা হল, প্রমোদ উদ্যান, সুইমিং পুল, সমুদ্রসৈকত। পোলিও থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ১৯১৮-২০-এর ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি এবং ২০০৩-এ সার্সও একইভাবে ঠেকানোর প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক দেশেরই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতার একটা সীমা থাকে। রোগীর সংখ্যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষমতাকে অতিক্রম করে গেলে তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। করোনা কাণ্ডে দেশে দেশে এই বেহাল অবস্থাই দেখা যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আজ হোক কাল হোক একদিন এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে। থেমে যাবে এর উন্মত্ততা। বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃতদেহের ওপর রচিত হবে নতুন জীবন, নতুন পৃথিবী। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসবে অর্থনীতিতে। দীর্ঘদিন দেশে দেশে লকডাউন, জরুরি অবস্থা, কারফিউ, বনধ, সান্ধ্য আইনের কারণে প্রায় সব ধরনের অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে আছে। পুরো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে অর্থনীতিতে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানব জাতি এখন ভয়াবহতম সংকটে পড়েছে। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে যে অভ‚তপূর্ব অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা বিশ্বে কয়েক দশক ধরে বিরাজমান আপাত শান্তির জন্য প্রকৃত হুমকি হয়ে উঠেছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই সংকট যে অর্থনৈতিক মন্দা ডেকে আনছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে তার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যগুলোকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। করোনার আঘাতে সবাই বিধ্বস্ত। ছোট-বড় সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত। যেহেতু সবাই আক্রান্ত, সেহেতু বিপদ উত্তরণের পথ নিয়েও সবাইকে একযোগে ভাবতে হবে। অবশ্য করোনার সংক্রমণ বিস্তারের আগেই বিশ্বব্যাপী একটি অর্থনৈতিক মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। প্রতিবেশী ভারতও মন্দার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশে অর্থবছরের অর্ধেকে এসে রপ্তানি ও রাজস্ব আয় কমছিল, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পণ্যবাজার সংকুচিত হচ্ছিল। এসব সূচক ছিল একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা শুরুর আগাম সতর্কবার্তা। দুঃখজনকভাবে সত্য হচ্ছে, করোনা ভাইরাস এসে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্ত ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। আন্তোনিও গুতেরেসের হুঁশিয়ারি তাই আমাদের জন্যও একইভাবে প্রযোজ্য। বৈশ্বিক বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির চাকা কীভাবে গতিশীল রাখা যাবে তা এক বিরাট প্রশ্ন। এমনিতেই ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আছে, শেয়ারবাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। সংকট মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। সরকারকে এখনই নড়েচড়ে বসতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়-বিশেষজ্ঞদের মতামত, পরামর্শ নিতে হবে। কারো একক চিন্তায় সমস্যার বহুমাত্রিকতা ধরা না-ও পড়তে পারে। চিন্তার স্বচ্ছতা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক পথনির্দেশনা দিতে সহায়ক হতে পারে। করোনার সঙ্গে লড়াই করার কোনো একক প্রেসক্রিপশন যেহেতু কারো হাতে নেই, সেহেতু সহযোগিতা নিতে হবে অনেকের, প্রয়োজন হলে সবার। তবে করোনা নিয়ে এখন কোনো বিদ্বেষমূলক রাজনীতি করা ঠিক হবে না। যদিও প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ার কোনোকিছুই রাজনীতির বাইরে নয়, রাজনীতি-নিরপেক্ষ নয়। জীবন-মরণ সমস্যায় মানুষ যখন বিচলিত তখন তারা রাজনৈতিক ভাবনা-বাহাস শিকেয় তুলে রাখতেই পছন্দ করবে। তবে মানুষ না চাইলেও রাজনীতিবিদরা পরিবেশ তিক্ত করা থেকে বিরত থাকতে চান না। যেমন বিএনপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সরকার সঠিকভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যেখানে করোনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে আমাদের দেশের একটি দল সংকটকে পুঁজি করে বিভেদের রাজনীতি করছে।’ আমরা এখন এই দুঃসহ দহনকালে রাজনৈতিক বিভেদ চাই না। আমাদের এখন দরকার ঐক্য এবং সংহতি। সবাইকে এখন মুক্ত মনে ভাবতে হবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কে, কী করতে পারি। মানুষ এখন নেতার চেয়ে বেশি খুঁজছেন একজন অভিভাবক। যিনি সবাইকে এক করবেন, সবার ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠবেন। কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে নয়, ভালোবাসার অনুভ‚তি দিয়ে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই এখন সম্ভব জাতির এই অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা। করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সরকারপ্রধান থেকে তার জাতির অভিভাবকের ভ‚মিকায় উত্তরণ ঘটবে। এখন তার হাতে আছে রাষ্ট্রক্ষমতা। সীমিত হলেও রাষ্ট্রীয় সব সম্পদও আছে তার নিয়ন্ত্রণে। তিনি চাইলে বিত্তবানরা সাহায্য দিতেও ছুটে যান, যাবেন। এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু এবং আগাম পরিকল্পনা। কী আছে, সেটা যেমন তিনি জানেন, কী নেই সেটাও তার অজানা নয়। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার সঙ্গে প্রশাসনিক দক্ষতার সংমিশ্রণ জরুরি। সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তার আছে। এখন দরকার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা রূপায়ণের উপযুক্ত জনবল। এই জনবল প্রচলিত প্রশাসনিক কাঠামো এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বৃত্তের মধ্যে পাওয়া না গেলে বৃত্তের বাইরে থেকেও তা নিতে হবে। দেশে ভালো মানুষ, নিবেদিতপ্রাণ মানুষ এখনো আছে। অমরত্বের প্রত্যাশা করলেই কেউ অমর হয় না। বৃত্ত ভাঙার সাহস এবং নতুন করে গড়ার সৃজনশীলতাই একজনকে অমর করে তুলতে পারে। আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী নিজেই করোনা মোকাবিলার কর্মকাণ্ড তদারকি করছেন এবং সমন্বয়ের দায়িত্বও পালন করছেন। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষায় এবং চিকিৎসায় যে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। মানুষকে ঘরে রাখা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না এখনো মূলত জনউদাসীনতা কিংবা অসচেতনতার কারণে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আতঙ্কে আছে। গরিব মানুষ খাদ্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। মানুষকে আস্থায় আনতে হবে। কাদের সত্যি সাহায্য প্রয়োজন তার নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। খাদ্যসামগ্রী বা অন্য সাহায্য বণ্টন ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কারো কারো ত্রাণ চুরির বদনাম আছে। কাজেই বণ্টন ব্যবস্থায় গণতদারকি জোরদার করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে আমরা কী কী সংকটে পড়ব, মূল্যস্ফীতি, কাজের অভাব, উৎপাদন ঘাটতি, ছাঁটাই অর্থাৎ কর্মহীনতা এগুলো কী উপায়ে সমাধান করা হবে তা ভাবতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অপচয় এবং দুর্নীতি বন্ধে কঠোর হতে হবে। সরকারের সঙ্গে যারা জড়িত মন্ত্রী-আমলাদের ঠাটবাট কমাতে হবে। কষ্ট ভাগের নীতি দৃশ্যমান হতে হবে। আমাকে কষ্টে রেখে আপনি ফুটানি করবেন এটা আমি কোনোভাবেই বরদাশত করব না। দরকার হলে কেড়ে খাব, আপনাকে একা খেতে দেব না। পেটের ক্ষুধা কোনো নিষেধাজ্ঞা মানে না। মনে রাখতে হবে, করোনা-কাণ্ড অনেক হিসাব-নিকাশই বদলে দেবে। স্বাভাবিক সমাজ জীবন বলতে আমরা যা বুঝি তাতেও পরিবর্তন আসবে। নিশ্চয়ই একদিন সবই ঠিক হবে। কিন্তু সেটা আজই নয়। এমনকি হয়তো কালও নয়। আমি অপেক্ষা করব, ধৈর্য ধরব। কিন্তু আপনাকেও আমার সঙ্গে থাকতে হবে। আমরা কেউ এটা ভুলব না যে, আমরা এক অদৃশ্য অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এই শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ ভিন্ন আর কোনো পথ খোলা নেই। সবার দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ পরিস্থিতি মোকাবিলার পথ সুগম করবে। বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। নরনযঁ৫৪@ুধযড়ড়.পড়স

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App