×

বিনোদন

মায়ের কাছ থেকে রান্না শিখছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২০, ০৪:৪০ পিএম

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে অঘোষিত লকডাউনে সব মানুষই এখন গৃহবন্দি সময় কাটাচ্ছেন। এমন সময়ে ঘরে কীভাবে দিনযাপন করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া; এ প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার কথা হয় তার সঙ্গে। কথা বলেছেন রাব্বানী রাব্বি।

সারাবিশ্ব করোনা মহামারিতে সংকটের মুখে। জনজীবন বিপর্যস্ত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘরে কেমন করে সময় কাটছে আপনার?

এখন যে অবস্থা এই অবস্থায় ইন্টারভিউ দেয়াও ঠিক না আসলে, আমার কাছে যা মনে হয়। সময়টা খুবই খারাপ। এই মুহূর্তে কী করছি বা কী কাজ করতেছি তা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, বাসায় থাকুক সবাই; বাসায় থাকার চেয়ে এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু আর নেই।

বাসায় থাকার চেয়ে নিরাপদ কোনো কিছুই নেই আসলে...

হ্যাঁ সেটাই, আমি বাসাতেই আছি। আমার জন্য আর আমার মায়ের জন্য করোনা ভাইরাস আরো বেশি কঠিন। কারণ দুজনেরই ডায়াবেটিস। যাদের ডাইবেটিস বা হার্টের অসুখ কিংবা অ্যাজমা, তাদের এই ভাইরাস আরো বেশি ক্ষতি করে। যার জন্য আমরা একদমই ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এমনকি কেউ আসলে আমি বা মা, আমরা কেউ দরজাও খুলতে যাচ্ছি না। বাসায় একজন কেয়ারটেকার আছেন, নাম সাহারা। তিনিই টুকটাক বাজার করে নিয়ে আসেন। আর আমাদের যে কাজের ভুয়া ও ড্রাইভার ছিলেন, তাদের আমি গত ১৮ মার্চই ছুটি দিয়ে দিয়েছি। কারণ আসলে বাইরে থেকে কেউ এলে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আরো বেশি।

অসহায় মানুষদের জন্য এই মুহূর্তে কিছু করছেন?

আমি তেমন কিছু ব্যক্তিগতভাবে এখনো করিনি। আমার বোন আমাদের ঠিক পাশের বাসাতেই থাকে। তারা প্রতিদিন রাতে প্রায় দেড়শ মানুষের জন্য খাবার রান্না করেন। আমাদের শান্তিনগর এলাকায় ইস্টার্ন প্লাস বা পলওয়েল মার্কেটের নিচে রাতে অনেক গৃহহীন মানুষ থাকেন। এই মানুষগুলো যে বাইরে খাবেন, সেই ব্যবস্থাও নেই আসলে। হোটেলগুলোও বন্ধ। তাদের খাওয়ানোর জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করি। মাকে সাহায্য করি।

আর সময় কাটছে কীভাবে?

সিনেমা দেখছি প্রচুর। মায়ের কাছ থেকে রান্না শিখছি। মা প্রতিদিনই অনেক মানুষের জন্য রান্না করেন। আর আমি সাধারণত রান্না করে অভ্যস্ত না। সবার ছোট হওয়াতে বাসায় কখনো আমাকে কোনো কাজ করতে দেয়নি। তো এবারই একটা বড় সুযোগ, আম্মার কাছ থেকে যতটুকু সম্ভব শিখে নেয়া। আমার হাজব্যান্ড আসেন মাঝে মাঝে, ওর অবশ্য সময় কেটে যায়। কারণ ওর ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছেন তিনি। বাসাতে ট্রেডমিল আছে, সেখানে আমি হাঁটাহাঁটি করি। ডায়াবেটিসের কারণে আমাকে হাঁটতে হয়। মা সবসময় রমনায় হাঁটতে যেতেন। তাকে ঘরে অনেকটা বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর ডায়াবেটিসের কারণেই করোনা ভাইরাস আমাদের জন্য আরো বেশি সিরিয়াস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App