নরসিংদীতে আইসিটি মামলায় ৩ সাংবাদিক আটক
nakib
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
নরসিংদীতে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পলাশের ঘোড়াশাল ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম পলাশ থানায় তিন সাংবাদিককে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে পৃথক অভিযান চালিয়ে শুক্রবার তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত সাংবাদিকরা হলেন স্থানীয় দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্ত বণিক ও অনলাইন পোর্টাল নরসিংদী প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক খন্দকার শাহিন।
সম্প্রতি একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা না বলে তাঁর বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগে মামলাটি করেন পুলিশ সদস্য।
দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে 'ঘোড়াশালে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যা পুলিশের' এবং নরসিংদী প্রতিদিন নামের একটি অনলাইনে 'ঘোড়াশাল ফাঁড়িতে নেওয়ার পর মৃত্যু, অভিযোগ পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন দুটিতে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলমের বরাত দিয়ে একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। অথচ জহিরুল আলম এমন কোনো বক্তব্য দেননি এবং মুঠোফোনে বা সরাসরি ওই সাংবাদিকদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই হয়নি বলে জানায় মামলার বাদি।
এরআগে গত ২৯ এপ্রিল বুধবার বিকেলে নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে পুলিশের হেফাজত থেকে ফিরে যাওয়ার পর হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মান্নান (৪০) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, চলমান লকডাউনের সময় সিএনজি নিয়ে সড়কে বের হওয়ায় মান্নানকে চুরির অপবাদ দিয়ে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। এতে ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় অটোরিকশা চালকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য ছিল, মান্নানের হৃদরোগ ছিল, তাঁকে সড়কে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি ওই সিএনজি চালিয়ে পার্শ্ববর্তী গাজীপুরের কালীগঞ্জের দক্ষিণ খলাপাড়া এলাকায় গিয়ে অসুস্থ হন। পরে সন্ধ্যার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ।