×

আন্তর্জাতিক

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২০, ০২:১৪ পিএম

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার
ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

প্যাঙ্গোলিন

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

প্যাঙ্গোলিন

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

বন্যপ্রাণীর মাংসের বাজার, চীন

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

পেঙ্গুলীন

ভাইরাসের আখড়া চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার

কুকুর

বিশ্বজুড়ে এখন চীনের উহান নগরীর নাম শুনেনি এমন কেউ নেই। এই উহান নগরী থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। পশুপাখির বাজার হিসেবে এই শহরের খ্যাতি রয়েছে। আর চীনের এই পশুপাখি-মাংসের বাজার থেকেই জন্ম নিচ্ছে একেকটি বৈশ্বিক মহামারী।

২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী সার্স ছড়িয়ে পড়ার পেছনেও বন্যপ্রাণীর মাংসকেই দায়ী করা হয়। তারপর থেকেই দাবি উঠেছিল পশুপাখি বিশেষ করে বন্যপ্রাণীদের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। চীন সরকার বেশ কয়েকবার তাদের আইনে সংশোধন আনলেও তা বন্ধ করতে পারেনি।

চীনের এই পশুপালনের ইতিহাসের শুরু সত্তরের দশকে। চীনে তখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। চীনের কমিউনিস্ট প্রশাসন চিন্তা করলেন খাদ্য উৎপাদন আর বিতরণ ব্যক্তিখাতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। ১৯৭৮ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পশু ফার্মকে সরকার উৎসাহিত করতে শুরু করে। বড় কোম্পানিগুলো গরু, মুরগি এবং শুকরের মতো সাধারণ পশু পালনের দিকেই মনোযোগ দেয়। তবে ছোট ছোট ফার্ম গড়ে উঠে যারা সাপ, বাদুড়, কচ্ছপ, ব্যাঙ, হরিণ, শেয়ালের মতো অপ্রচলিত প্রাণী পালন শুরু করে। বাজারে চাহিদা থাকায় এসব ছোটখাট ফার্ম দিনে দিনে বাড়তে থাকে। ওষুধ হিসেবে ব্যবহার আর অভিজাতদের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই ফার্মের সংখ্যা আর বাজারও বেড়েছে বহুগুণে।

[caption id="attachment_212821" align="aligncenter" width="1280"] পেঙ্গুলিন[/caption]

১৯৮৮ সালে চীন 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন' পাস করে, যাতে বন্যপ্রাণীকে উল্লেখ করা হয় রাষ্ট্রের সম্পত্তি এবং সেই আইনে বন্যপ্রাণীকে পোষ মানানো এবং তাদের লালন পালন করার অনুমতি দেওয়া হয়। স্টেট কাউন্সিলের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করে যে কেউ বন্যপ্রাণী লালন পালন এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে এমন ধারা সৃষ্টি করা হয়।

তাই চীনের পশুপাখির মার্কেটে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, আর বাজার বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা প্রাণীরাও বিক্রি হতে থাকে একই বাজারে। একই বাজারে জীবিত পশু, তার মাংস, হাড়, নখ বিক্রি শুরু হওয়ার সাথে সাথে রোগ জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে।

[caption id="attachment_212823" align="aligncenter" width="730"] কুকুর[/caption]

ফলাফল হিসেবে ২০০৩-০৪ সালে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আবারো এমনই একটি বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ঝুঁকিপূর্ণ বন্যপ্রাণীর ব্যবসা বন্ধ করতে না পারলে এমন মহামারি হানা দিবে বারবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App