সাবেক চেয়ারম্যানকে রড দিয়ে পেটালেন বর্তমান চেয়ারম্যান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২০, ০৪:২২ পিএম
আহত সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. সালাউদ্দিন মাতুব্বর
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. সালাউদ্দিন মাতুব্বর (৫৪) কে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদারের (৫৪) বিরুদ্ধে। শনিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার ইকরকান্দি খানবাড়ি জামে মসজিদের সামনে এ হামালার ঘটনা ঘটে।
আহত হাজী মো. সালাউদ্দিন মাতুব্বর নারায়নপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত হাজি মো. ইউনুস মাতুব্বর। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদারের সঙ্গে নারায়নপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. সালাউদ্দিন মাতুব্বরের দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সালাউদ্দিন মাতুব্বর খানবাড়ি জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার ও তার লোকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নাজিম উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মফিজ তালুকদার (৪০), স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব তালুকদার (৪০), অমি তালুকদারসহ ১২/১৪ লোক সালাউদ্দিন মাতুব্বরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সালাউদ্দিন মাতুব্বর বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
আহত হাজী মো. সালাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি বর্তমান চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদারের ভাই মৃত নাসির উদ্দিন তালুকদারের সঙ্গে। সেই নির্বাচনে ভোট কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হন নাসির উদ্দিন তালুকদার। সেখান থেকেই নাজিম উদ্দিন তালুকদার আমার উপর ক্ষিপ্ত। একা পেয়ে আমার ওপর হামলা চালায় ওরা। আমি এই হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে সালেউদ্দিন মাতুব্বর।
ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে । অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।