×

মুক্তচিন্তা

কোভিড-১৯ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২০, ০৮:১১ পিএম

সারা বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের নাম করোনা ভাইরাস-১৯ বা কোভিড-১৯। ব্রিটিশ রাজকুমার, প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ ৫.৭৬ লাখের মতো আক্রান্ত মানুষ এবং ২৬ হাজারের ওপর জীবনহানির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব এখন বস্তুত গৃহবন্দি। অতি শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে আমাদের মতো দেশ পর্যন্ত সবাই প্রাথমিকভাবে এই মহামারি থেকে বেঁচে থাকার জন্য সঙ্গনিরোধ, লকডাউন, জনতার সান্ধ্য আইন ইত্যাদি নানা পদ্ধতি গ্রহণ করে যাচ্ছে। এর শেষ কবে সেসব নিয়ে বিভিন্ন সময়সীমা বা আলোচনা থাকলেও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না এর সমাপ্তি রেখাটি কোথায় গিয়ে থামবে। চীনের উহান প্রদেশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে একটি সুস্থির অবস্থায় রয়েছে। সুস্থির থাকার বিষয়ে কোরিয়ার অবস্থাও অনেক ভালো। জাপানও ভালো অবস্থায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালি বস্তুত ভয়ঙ্কর বিপদের শীর্ষে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো পথ তাদের জানা আছে বলে মনে হয় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসব বিষয়ে গুজব ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের দিকেও যদি আমরা তাকাই তবে আমরা মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করে ২৬ মার্চ থেকে গৃহবন্দি জীবনযাপন করছি আমরা। একদম ন্যূনতম সেবাও আমরা চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছি। সারা বিশ্বের সঙ্গে পুরো দেশের মানুষ একসঙ্গে এ রকম অবস্থার মোকাবিলা করেছে বলে আমি আমার একাত্তর বছরের জীবনে স্মরণ করতে পারছি না।

এর প্রভাব কী হবে সেটি এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিতের অবস্থা হিসেবে করলে এটি বিশাল আকারের ধস। আমেরিকার পুঁজিবাজার ও বিশ্বজুড়ে অন্যান্য পুঁজি বাজারের ধস বিবেচনায় নিলে বিশ্ব অর্থনীতি এখন স্থবিরতার পথে। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া বিপদের মাত্র ১০০ দিনের হিসাব নিলেই মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে। সামনে কী আছে সেটি ধারণা করাও হয়তো সম্ভব নয়। তবে একটি বিষয় সম্ভবত আমাদের সবার ধারণাতেই এসেছে যে, বিশ্বটা সত্যি সত্যি ডিজিটাল হয়ে গেছে। এমনকি আমাদের দেশের অতি সাধারণ মানুষও যখন তার গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছে তখন ডিজিটাল প্রযুক্তিই তার একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুজনকেই এখন বাড়িতে বসে কাজকর্ম করতে হচ্ছে। কেবল সরাসরি কায়িক শ্রমের কাজ ছাড়া বাকি কাজ যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা যায় তার অফুরন্ত দৃষ্টান্তও স্থাপিত হচ্ছে।

একেবারে ন্যূনতম তথ্যটাও যদি ধরি তবে মোবাইলে কল করা বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করা ছাড়া এমনকি দৈনন্দিন জীবনও কাটছে না। এটি কেবল যোগাযোগের মাধ্যম হয়নি এটি কাজের বাহন এবং বিনোদনের প্রধান উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে ১৫.৯৪ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে এবং অন্তত ১০ কোটি লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এখন প্রায় ১০ কোটি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এখন ৫ মিনিট যদি ইন্টারনেট বন্ধ থাকে তবে আমাদের অর্থনীতির ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তা চিন্তাও করা যায় না। অথচ আজ থেকে ১০ বছর আগে ইন্টারনেটের কোনো প্রভাবই অর্থনীতিতে ছিল না। ফেসবুক ব্যবহার করে হাজার হাজার তরুণ নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। অনুমান করা হয় যে ১০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী এতে ব্যবসা করে। বিপণন ও সামাজিক যোগাযোগের কথা না হয় উল্লেখই করা হলো না। ফেসবুক থেকে সরাসরি জিনিসপত্র বেচাকেনা হচ্ছে। এখন আর ভোক্তাকে বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিস কিনতে হচ্ছে না। ইন্টারনেটে জিনিস পছন্দ করে অর্ডার দিলেই তা বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে। মূল্য পরিশোধ করে ভোক্তা তা গ্রহণ করতেও পারছে। মানুষ যতটুকু সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবে পেয়েছে তা সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে। যেটা বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। মানুষ কিন্তু বসে নেই। তার নিজের প্রয়োজনে এগিয়ে যাচ্ছে। যার সুফলটা পাচ্ছে রাষ্ট্র ও সরকার। এখানে আরো অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ আছে। করোনার আত্মপ্রকাশের পর আমরা যখন গৃহবন্দি হয়ে পড়লাম তখন অবস্থা একটি নতুন মাত্রা পেল।

আমরা যখন ঘর থেকে ঘরে যাতায়াত করতে পারছি না তখন বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ কেবল এই প্রযুক্তিই প্রদান করছে। মাত্র এক সপ্তাহে বাংলাদেশে ৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব্যবহার বেড়েছে। সঙ্গত কারণেই ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে আমেরিকার মোবাইল অপারেটরদের ভয়েস কল শতকরা ৪৪ ভাগ ও ডাটা কল বেড়েছে ৮৮ ভাগ। বস্তুত এই চিত্রটি সারা বিশ্বের। ঘরে বসে অফিস করার কাজটা আমরা অনেকেই এখন করছি। সেদিন আমি টেলিকম বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতিবিষয়ক একটি সভা করেছি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সার্ক দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং করেছেন। অচিরেই তিনি হয়তো জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সিং করবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা মন্ত্রীরা নিজের বাড়িতে বসেই তাদের কর্ম সম্পাদন করছেন। বস্তুত অফিসও ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলতে পারত। আমাদের ই-নথি সরকারি কাজ করার সব সক্ষমতা নিয়েই তৈরি করা। ফলে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব স্তরেই ব্যবহৃত হতে পারে। এরই মাঝে অনেকে হুয়াটসঅ্যাপ-ম্যাসেঞ্জারে গ্রæপ করে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কোনো কোনো বেসরকারি সংস্থাও সভা-আলোচনা-সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অনেক ধরনের কাজ করছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কেনাকাটাও ডিজিটাল পদ্ধতিতেই হতে পারে। ডিজিটাল কমার্স ব্যবস্থা সক্রিয় করে সবাই তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারেন। আর্থিক লেনদেনের জন্য কেবল মোবাইল অর্থ সেবা নয় ব্যাংকগুলোর অ্যাপ ও ওয়ালেট আছে। সরকারের সেবা দেয়ার মতো নেটওয়ার্ক এরই মাঝে গড়ে উঠেছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ছাড়াও ডাক বিভাগ তার ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে সরকারের সেবার পাশাপাশি ডিজিটাল কমার্সে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করতে পারে। সামগ্রিকভাবে বলা যেতে পারে যে, করোনার মতো পরিস্থিতি হোক বা না হোক আমাদের জনগণ ডিজিটাল জীবনধারায় অভ্যস্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুনিয়ার মানুষদের চেয়েও কিছুটা এগিয়ে। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানরা কোনো কিছুকেই অসাধ্য মনে করে না।

সম্প্রতি আমি ফেসবুকে এক ভদ্রমহিলা ও তার মায়ের আলাপের স্ক্রিন শট দেখছিলাম। মেয়ে ৬-৭ বছরের। সে পাশের ঘরে বসে হুয়াটসঅ্যাপে মাকে লিখছে আমি একটা কচ্ছপ কিনব। মা লিখেছে কচ্ছপের ইংরেজি বলতে পারলে কিনে দেব। মেয়েটি যথারীতি সঠিক ইংরেজি লিখেছে। মাকে সে জিজ্ঞেস করছে, ঠিক হয়েছে? মা বলল, হ্যাঁ। মেয়ে লিখছে, তাহলে কিনে দাও। মা বলল, এখন তো সবই বন্ধ। মেয়ে বলছে, অনলাইনে অর্ডার দাও। মা বলছে, সব বন্ধ তো। মেয়ে বলছে, অনলাইন তো বন্ধ নয়। আমি নিশ্চিত লাইবা ও তার মায়ের গল্প ঘরে ঘরে আছে। এমন একটি দেশের জনগণকে নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। তবে এবারের করোনা ভাইরাস কিছু হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছে। আমি প্রথম হুঁশিয়ারিটাকে কর্মসংস্থানের দিকে দেখাতে চাই। আমাদের পোশাক শিল্পের যে অবস্থাটি মাত্র ৩ মাসে তৈরি হয়ে গেল সেটির কোনো প্রতিকার আমরা আদৌ পাব কিনা জানি না। খুব সঙ্গত কারণেই আমাদের বিবেচনা করতে হবে যে পোশাক কারখানায় ভবিষ্যতে আমাদের সস্তা শ্রমিকের বিকল্প হবে রোবট। বিশ্বের যে প্রান্তেই আমাদের সোয়া কোটি প্রবাসী বসবাস করছে তারাও রোবটের কাছে তাদের চাকরিটা খুইয়ে নিজের দেশে ফিরে আসবে। বিশ্ব রোবটিক্সের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা-আইওটি ইত্যাদি ব্যবহার করে অদক্ষ ও অর্ধ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সামান্য সচেতনতা দেখাচ্ছি না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কোনোভাবেই এই নতুন পরিস্থিতির উপযোগী নয়। এক বাক্যে বললে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যদি ডিজিটাল যুগের উপযোগী না করা যায় তবে আমরা দুনিয়ার নতুন বিপ্লবে শরিক তো হতেই পারব না বরং করোনার মতো মহামারিতে যখন মনুষ্যহীন উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে মানুষ মনোযোগী হবে তখন আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। এখনই আমরা অনুভব করছি যে আমাদের দিনমজুর, কায়িক শ্রমের মানুষ, বস্তিবাসী এসব জনগোষ্ঠী বস্তুত এক অসহায় অবস্থার মাঝে পৌঁছে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কোন পথে যাবে- দোকানপাট-কলকারখানা কেমন করে চলবে সেসব ভাবনার পাশাপাশি এমনকি বেতন-ভাতা দেয়ার মতো বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। সরকার এরই মাঝে রপ্তানিমুখী খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার সহায়তা ও সাধারণ মানুষের জন্য সহায়তার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে আমাদের জন্য সংকটের বিষয় হচ্ছে আমরা কেউই এখনো নিশ্চিত নয় যে এর শেষ সীমারেখাটি কোথায়। করোনার প্রভাবে দ্বিতীয় বিষয়টি দৃশ্যমান হলো যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ভাইরাসকে যতটা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে আর কোনোভাবে সেটি সম্ভব নয়। চীন, কোরিয়া ও জাপান রোবটিক্স ও বিগডাটাকে এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফলও পেয়েছে। যে চীনে করোনার উদ্ভব সেই চীন এখন সারা দুনিয়াকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। করোনার মাঝে বসবাস করে আমি আমাদের সামনের পথচলাকে দুদিকে প্রবাহমান দেখতে চাই।

১. আমাদের জ্ঞানকর্মী গড়ে তুলতে হবে। এজন্য বিদ্যমান বা প্রচলিত শিক্ষায় যারা শিক্ষিত হয়েছে বা যারা কায়িক শ্রমের দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে তাদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী জ্ঞানকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত কর্মক্ষেত্রগুলো থেকে বাছাই করে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে আমাদের মানবসম্পদ রপ্তানি বিপন্ন না হয়ে আরো বেশি গতি পাবে। যদি তা করতে না পারি তবে মানবসম্পদ রপ্তানি স্থবির হবে ও এক সময়ে উল্টো স্রোতে প্রবাহিত হবে। একই সঙ্গে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নিজের দেশে যেসব পেশাগত পরিবর্তন হবে এবং জ্ঞানকর্মীদের যে চাহিদা তৈরি হবে তার জন্য ডিজিটাল দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

বড় কাজটি করতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়। এই শিক্ষার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ স্তরে বিষয়বস্তু, পাঠ্য উপকরণ, পাঠদান, মূল্যায়ন এবং শিক্ষা দান পদ্ধতিকে সমন্বিতরূপে ডিজিটাল করতে হবে। গত এক দশকে এ খাতে সমন্বয়ের অভাব প্রকট ছিল। পরিকল্পনার সংকট এবং ডিজিটাল রূপান্তরে গুণগত মান অর্জনে ঘাটতি ছিল। ডিজিটাল ক্লাসরুম গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু তাতে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করার পাশাপাশি পেশাগত ডিজিটাল কনটেন্টও প্রদান করা হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রচলন করার পাশাপাশি ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে- কিন্তু ল্যাব পরিচালনা ও ব্যবহার সমন্বিত বা পর্যাপ্ত ছিল না। সবচেয়ে বড় প্রয়োজনটি হচ্ছে প্রাথমিক স্তর থেকেই প্রোগ্রামিং-রোবটিক্সের মতো বিষয় যুক্ত করা এবং ডিজিটাল যুগের বিষয়গুলো সব স্তরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অংশ হিসেবে চালু করা। ২. আমাদের সব গুরুত্ব ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষণায় দিতে হবে। আমাদের এখন রোবটিক্স-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, বিগডাটা, ব্লক চেইনসহ ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের জন্য সব শক্তি নিয়োগ করতে হবে।

আমার নিজের ধারণা করোনা-পরবর্তীকালে আমাদের আরো কিছু জরুরি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App