কুড়িগ্রামের উলিপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের গণবিঞ্জপ্তি উপেক্ষা করে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড নামের একটি পাপস তৈরির কারখানায় প্রায় ৪‘শ শ্রমিক এক সঙ্গে কাজ করছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও তা বন্ধ করতে পারেনি।

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে গত ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম হাট-বাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন। কিন্ত পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেটকৃত রংপুর লিমিটেড নামের ঐ প্রতিষ্ঠান পাপস তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। প্রতিষ্ঠানটি উলিপুর সদরের গুনাইগাছ তেতুলতলায় অবস্থিত।

সরেজমিন শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে একদল সাংবাদিক কারখানার ভেতরে ঢুকতে চাইলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী প্রথমে বাধা দেন। পরে অবশ্য ঢুকতে দেন। দেখা যায় মহিলা শ্রমিকরা গাদাগাদি অবস্থায় কারখানায় গার্মেন্টেসের ঝুট এবং পাট দিয়ে পাপস তৈরিতে ব্যস্ত। করোনা সচেনতায় বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অন্তত তিন ফিট শারীরিক দুরুত্ব বজায় রাখার কথা থাকলেও সেখানে এসব কিছইু চোখে পড়েনি। তবে কয়েকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ শ্রমিক ছিল মাস্ক ছাড়াই। তবে কারখানার ম্যানেজার তপন চক্রবতী জানান, মালিকের নির্দেশ আছে কাজ করার।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার নলেজে আছে, গত ২৬ তারিখ উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক সেখানে গিয়েছিল। সম্ভবত স্থানীয় এমপি সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে কাজ করার প্রতিশ্রুতিতে সেটি চালু রয়েছে।