পরিবারের সঙ্গে হাসিখুশি সময় কাটাচ্ছেন খালেদা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২০, ১০:০৫ পিএম
খালেদা জিয়া/ ফাইল ছবি
স্কাইপিতে ছেলে, দুই পূত্র বধু ও নাতনীদের সঙ্গে কথা বলছেন, কাছে আছেন ভাই- বোনেরা। অনেক দিন পর পরিবারের সান্নিধ্যে হাসি-খুশি সময় পার করছেন বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে খুশি আছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন সদ্য কারামুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তিনি।
কোয়ারেন্টিন চলাকালে কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না তিনি। ফলমূল ছাড়া বাইরের কোনো খাবার খাচ্ছেন না তিনি। তাই খাবারও বাড়িতে রান্না হচ্ছে। বোনেরা নিজ বাসা থেকে তার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে আসছেন। খালেদা জিয়ার কখন কি খাবেন তার খেয়াল রাখছেন, বোন সেলিমা ইসলাম। আগের মতো সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করছেন ফাতেমা। আপাতত কয়েকটা দিন ডাক্তার ছাড়া বাইরের লোক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ নিষেধ থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন না তিনি। সিনিয়র নেতারা খোঁজ রাখছেন মুঠোফোনে।
সেলিমা ইসলাম জানান, বাড়িতে আসার পর থেকেই অনেক খুশিতে আছেন তিনি। দলীয় কোনো কথা বলেননি এখনো। তাকে ফ্রেশও লাগছে। দুই বছর পর পরিবারের সবাইকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। যেদিন বাসায় এলেন, রাতে খেয়েছেনও সবার সঙ্গে বসে। ঘুমিয়ে পড়ছেন ১০টা বাজতেই। ভোরে উঠে নামাজ আদায় করছেন। তার অভ্যাগত অনেক পরিবতন হয়েছে বলে জানান সেলিমা ইসলাম।
তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত ছেলের বৌ ডা. জোবাইদা রহমানের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় ডাক্তাররা তার দেখভাল করবেন। চিকিৎসার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হলে তার (ডা. জোবাইদা) পরামর্শে নেয়া হবে।
এছাড়া তার চিকিৎসা বোর্ডের ডাক্তাররা নিয়মিত চেকআপ করছেন। বুধবার তাকে দেখে গেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএফ সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জোবায়দা রহমানের সঙ্গে কথা বলে, বুধবার রাতে নতুন প্রেসক্রিপশন করে চিকিৎসা শুরু করেছেন। হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে দরকার হলে নতুন চিকিৎসা শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কোয়ারান্টাইনে থাকা অবস্থায় নতুন চিকিৎসা শুরু করা যাবে না। তাছাড়া তার পূর্বের ঔষধের কোর্স শেষ হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে তাকে কোন ধরনের চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুস সাত্তার বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। সবার কাছে নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পর সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানিয়েছেন। নেতাকর্মীদের তার বাড়ির সামনে ভিড় না করতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।