খুলনায় করোনা সন্দেহে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০, ০২:৩৯ পিএম
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় খুলনা মহানগরী ও জেলায় ১২২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৩৮ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও মহানগরীতে এ পর্যন্ত ১৬৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৬ জনকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর মুক্ত করা হয়েছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা ও যশোর অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবলকে করোনা সন্দেহে তার বাবা গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুলিশ সদস্যের জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার কারনে প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়া প্রথম রোগী। কনস্টেবলের সেবায় নিয়োজিত থাকায় বাবাকেও হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বুধবার রাতে ২জন ও আজ বৃহসপতিবার দুপুরে আরো ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. টিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ছেলেকে এ অবস্থায় মাগুরা থেকে নিয়ে আসেন ওই বাবা। চিকিৎসাসহ সেবা দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাকেও তাৎক্ষণিক করোনা ইউনিটে রাখা হয়। তারা মাগুরা জেলার কাপাশাটি গ্রামের বাসিন্দা। গত বুধবার রাতে দুইজন এবং বৃহসপতিবার দুপুরে আরো দুইজন রোগী ভর্তি হয়। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করছি। এদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত করোনার উপসর্গের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি।
খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ জানান, খুলনায় সরকারীভাবে যে পিপিই আসছে তা পর্যাপ্ত না। সদরের জন্য মাত্র ৫০টি পিপিই মজুদ রয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস সনাক্ত বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য যে কীট প্রয়োজন তা এখনো খুলনায় আসেনি। প্রচণ্ডভাবে মানুষিক চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। আর জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা হোসেন জানান, জেলা ও মহানগরীতে এ পর্যন্ত ১৬৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৬ জনকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর মুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রুপসায় ১০৫, তেরখানা ২৯, দিঘলিয়া ৫২, ফুলতলা ৫৭, ডুমুরিয়া ৭৬, বটিয়াঘাটা ৮১, পাইকগাছা ১১৭, দাকোপ ৯৩ ও কয়রা উপজেলায় ১৯২ জন সহ মহানগরীতে ৮৬৮ জন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ সব রোগীদের কড়া নজরদারীতে রাখা হয়েছে যাতে তারা ঘরের বাইরে না আসতে পারে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলিশন ইউনিটে নয়, হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে ভর্তি করা হয়েছে।