×

জাতীয়

ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২০, ০৪:২৯ পিএম

ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি এই বাসায়ই উঠবেন। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। তাকে এখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য়।

বাসার নাম ‘ফিরোজা’। হাউজ নম্বর এনইডি-১, রোড নম্বর ৭৯, গুলশান-২। ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে বাড়িটিতে যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বসবাস শুরু করেন, সেদিন থেকেই এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। বেড়ে যায় মর্যাদা। ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি— এই সাত বছর এ বাড়িটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী-এমপি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত-ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি ডেলিগেট, দেশের বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ছিল নিত্য আনাগোনা। বাড়ির সামনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী (সিএসএফ), বিরোধী দলের নেতা এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে প্রটোকল পুলিশ, কর্মী-সমর্থকদের ভিড়, সর্বোপরি মিডিয়াকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে বাড়িটি ছিল আর দশটি বাড়ির চেয়ে একদম অন্যরকম। বাসা নতুন করে গোছগাছ করার বিষয়টি তদারক করছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। এতদিন তারাই এ বাড়ির দেখাশোনা করেছেন।

খালেদা জিয়াকে নিতে বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পৌঁছান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন বেগম সেলিনা ইসলাম। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। বার্ধক্যজনিত নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বন্দিদশা তার স্বাভাবিক আচরণ আচরণে প্রভাব ফেলেছিল। বেশ রুক্ষ মেজাজেই থাকতেন। অনেক সময় বিষণ্ণতাও তাকে ভর করতো।

তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এরপর তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তির খবর পাওয়ার পর খালেদা জিয়া কিছুটা স্বস্তি বোধ করেন। তার আচার আচরণে তা প্রভাব ফেলে।

ফেরার আগে তাকে অনেকটা খোশ মেজাজে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App