×

সারাদেশ

সাজেকে হামে আরও ১ শিশুর মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২০, ১২:১৫ পিএম

প্রাণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সাজেকের লুঙথিয়ান পাড়ায় গত রাতে আরো এক শিশু মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম খেতী রানী ত্রিপুরা (১৩)। এনিয়ে ২৪ দিনে মোট ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তবর্তী দুর্গম লুঙথিয়ান পাড়ায় হামে আক্রান্ত হয়ে আরো এক শিশুর মহেন ত্রিপুরা (১২) একটু খারাপ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা। সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, ইতিমধ্যে সাজেকের তিনটি গ্রামে ৬ টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তার মধ্যে আজ বিজিবির হেলিকপটারে করে ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মাওলা বক্স চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশ্ব স্ব্যাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডাঃ আরিফুল ইসলাম সহ ঢাকা থেকে ৪ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল সাজেক যাচ্ছেন। এই নিয়ে ১৮ জন ডাক্তার ও নার্স সেবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরাদের একটি ভ্রান্ত ধারণার কারণে তারা অসুস্থ বেশী হচ্ছে। তাদেরকে আমরা হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসার জন্য গেলেও তারা আসতে চায় না। তিনি বলেন তাদের মাঝে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের ত্রিপুরা কমিউনিটির লোকজনকেই এই উদ্যোগ নিতে হবে। সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি জানান, সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে গত কয়েক দিনে হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই রোগে ইতিমধ্যে ৫ শিশু মারা যাওয়ার পর গতকাল রাতে আরো একশিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং সেখানে মেডিকেল টিম গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। এছাড়া ৭নং ও ৮নং ওয়ার্ডের লঙথিয়ানপাড়া, অরুণপাড়া, কমলাপুর, কাইশ্যোপাড়া এলাকায় এখনও প্রায় শতাধিক শিশু হামে আক্রান্ত বলে জানান নেলশন চাকমা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইসতেখার আহম্মদ বলেন, সাজেকের দুর্গম এলাকায় হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম শিশুকন্যার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমাদের ৮সদস্যের একটি মেডিকেল টিম সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছে। প্রথম ৫জনের মৃত্যুর পর অবস্থার উন্নতি হলেও গতকাল রাতে আরো একজনের মৃত্যু হয়। আজকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের জন্য উপজেলার হেল্থ ইন্সপেক্টর চিরন্জিৎ চাকমার মাধ্যমে পাউডার দুধ ৭০কেজি, ডাল ৮০কেজি, বিস্কিট ২০০প্যাকেট, চিনি ৮০কেজি, ডিম ৩৫০টি প্রেরন করা হয়েছে। এলাকাটি এতোই বেশী দুর্গম যে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র হতে পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ন্ত নেই। গ্রাম গুলোতে পৌছাতে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। দুর্গম এই এলাকায় যেতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদেরকে সরঞ্জাম নিয়ে দারুন ভাবে বেগ পেতে হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App