মিরপুরে লকডাউন ৪০ বাড়ির ৬৭২ পরিবার
nakib
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ০৯:৪৮ এএম
লকডাউন করা ভবন
রাজধানীর মিরপুর-১ এর উত্তর টোলারবাগে করোনাভাইরাস শঙ্কায় আনুমানিক ৪০টি বাড়িসহ পুরো এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। স্থানীয় আবাসিক কল্যাণ সমিতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রাতে আইইডিসিআরের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুলিশের মিরপুর বিভাগের এসি (দারুস সালাম) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২১ মার্চ )ভোরে টোলারবাগের একটি ভবন লকডাউন করা হয়। কারণ ওই ভবনে এক বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
৪০টি বাড়ি লকডাউনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মিরপুর বিভাগের এসি (দারুস সালাম) মিজানুর রহমান বলেন, ঠিক লকডাউন নয়। যেহেতু ওই এলাকায় একটি ঘটনা ছিল। সেহেতু তিনি ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে চলাফেরা, মেলামেশা করেছেন। তাই আমরা প্রত্যেক বাসায় বাসায় গিয়ে ওই এলাকার মানুষকে সচেতন করে দিয়ে এসেছি। তারা যেন বাসা থেকে বের না হন। তা ছাড়া ওই এলাকায় চলাচল সীমিত রাখেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, সেখানে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০টির মতো বাসাতে আমরা গিয়েছিলাম। বলতে পারেন টোলারবাগ পুরো এলাকা।
অন্যদিকে হাউজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাশীষ বিশ্বাস জানান, সন্ধ্যায় বৈঠক হয়েছে। টোলারবাগের ৪০টি বাড়ির ৬৭২ পরিবারকে ‘লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি কার কাছ থেকে ভাইরাস বহন করেছিলেন, সেটি চিহ্নিত করা যায়নি। আইইডিসিআর জানিয়েছে, সেখানে আরো আক্রান্ত থাকতে পারেন। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একটি সার্কুলার জারি করা হচ্ছে। যেন সেখানকার চাকরিজীবীরা ঘরে থাকতে পারেন।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ জানান, মিরপুরের টোলারবাগের একটি ভবনের একজন করোনা ভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তি ছিলেন। সতর্কতার জন্য আক্রান্ত ওই রোগীর সঙ্গে সম্ভাব্য চলাফেরা ও মেলামেশা করা ভবনের অন্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। ভবনটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে, ওই ভবন থেকে যেন কেউ বের হতে না পারেন। ওই ভবনে প্রবেশ সংরক্ষিত ও এলাকায় চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইইডিসিআরের পরামর্শে পরিবারটি যে ভবনে থাকে সেটি ‘লকডাউন’ করে রাখা হয়েছে। ওই পরিবারের একজন মারা গেছেন। ওই পরিবারের কেউ যাতে বাসা থেকে বাইরে বের হতে না পারে সেই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে ওই ভবনটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতার সঙ্গে চলতে সতর্ক করা হয়েছে।