×

জাতীয়

৪ দেশে ছাড়া সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ হচ্ছে

Icon

nakib

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ১০:১৮ এএম

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য ছাড়া দেশে সব আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীবাহী ফ্লাইট আসা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে  শনিবার (২১ মার্চ )মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ১০ দেশের আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট অবতরণ। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিলম্বিত’ বলে মনে করছেন অনেকে। বাকি ৪ গন্তব্য নিয়েও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২১ মার্চ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, দেশে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে ২১ মার্চ দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে কোনো নিয়মিত আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে নামার অনুমতি দেয়া হবে না। তবে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ের (ক্যাথে প্যাসিফিক) ফ্লাইট আসতে পারবে। আর সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুধু যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নামতে পারবে। এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বেবিচক বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি চারটি গন্তব্যকে উন্মুক্ত রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার ক্ষেত্রে ওই দেশগুলো মোটামুটি নিরাপদ মনে করা হচ্ছে এবং রুটগুলো চালু রাখার মতো প্রয়োজনীয়তাও এখন রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে সেগুলোও বন্ধ করে দেয়া হবে। ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত দেরিতে হলো কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেরি হয়তো হয়েছে। কিন্তু আমাদের আরো সর্তকতার প্রয়োজন ছিল। যদি আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা লোকজনকে আগে থাকতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা যেত তবে রুট বন্ধেরও প্রয়োজন দেখা দিত না। এ প্রসঙ্গে জীবাণু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় দুই মাস আগেই আমরা সতর্ক হতে পারতাম। এক হিসেবে দেখা গেছে, গত ১৭ দিনে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই ৯ হাজার বিদেশফেরত যাত্রী এসেছেন। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ থাকলেও এতক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ফ্লাইট বন্ধ, কোয়ারেন্টাইনসহ নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আগেই নেয়া উচিত ছিল। যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ডসহ আক্রান্ত দেশগুলোকে সরকার কেন নিরাপদ মনে করছে তা-ও বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। কারণ বিদেশফেরত যাত্রীরা নিয়ম মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে বিপর্যয় আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এদিকে, বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করার কথা আবারো উল্লেখ করে গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সরকারের স্থির সিদ্ধান্ত, যেই প্রবাস থেকে আসুক না কেন, তার ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। সেটা হোম কোয়ারেন্টাইন হোক আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হোক। কেউ এ আদেশ অমান্য করলে দেশবাসী যেন স্থানীয় প্রশাসনকে তা জানিয়ে দেন। যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন, তাদের হাতে আমরা কালি দিয়ে একটি অমোচনীয় দাগ দিয়ে দিচ্ছি। যাতে তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যায়। কোয়ারেন্টাইন করার ফলে চীন সফল হয়েছে। আমরা সে দৃষ্টান্ত মানতে চাই। প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপাতত বাংলাদেশ সফর থেকে বিরত থাকুন। যদি ভিসার মেয়াদ শেষও হয়ে যায়, তবে তা নবায়ন করা হবে। এজন্য ভয়ের কোনো কারণ নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App