×

সারাদেশ

করোনা সম্পর্কে জানেন না বরিশালের বস্তিবাসীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ১০:১৫ পিএম

করোনা সম্পর্কে জানেন না বরিশালের বস্তিবাসীরা
করোনা সম্পর্কে জানেন না বরিশালের বস্তিবাসীরা
করোনা সম্পর্কে জানেন না বরিশালের বস্তিবাসীরা
করোনা সম্পর্কে জানেন না বরিশালের বস্তিবাসীরা
অসচেতনতার কারণে নিন্মআয়ের মানুষগুলো করোনা ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন। সরকারি বা কোনো স্বেচ্ছাসেবী এনজিও থেকে সচেতনতার জন্য অদ্যবর্ধি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে করোনাভাইরাস কী? মাস্ক কেন ব্যবহার করতে হয়? সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারান্টাইন) কী? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর জানেন না বরিশাল নগরীর ৩৫টি বস্তিতে বসবাস করা নিন্মআয়ের মানুষগুলো। যেকারণে করোনা নিয়ে এসব বস্তিবাসীর মধ্যেও নেই তেমন কোন আলোচনা। সূত্রমতে, বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে ১৩টি, ১০নং ওয়ার্ডে আটটি, ৬নং ওয়ার্ডে পাঁচটি, ৩নং ওয়ার্ডে পাঁচটি এবং ২নং ওয়ার্ডে চারটিসহ মোট ৩৫টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তিতে কয়েক লাখ হতদরিদ্র মানুষ বসবাস করছেন। এরমধ্যে পলাশপুর, রসুলপুর, কেডিসি, ভাটারখাল, বঙ্গবন্ধু কলোনি, স্টেডিয়াম ও কলাপট্টি বস্তিতে সবচেয়ে বেশি গাদাগাদি করে বসবাস করছেন নিন্মআয়ের মানুষগুলো। বঙ্গবন্ধু কলোনির বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, খালি শুনি করোনা করোনা কিন্তু করোনা কি বা এর ক্ষতি কি কিছুই জানি না। কিসের কারণে মুখোশ (মাস্ক) ব্যবহার করতে হয় তাও জানি না। আর এ সম্পর্কে জানাতে বস্তিতে সরকার বা কোন সংস্থার লোক আসেনি। তিনি আরও বলেন, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ নয়জনকে নিয়ে একটি ছোট্ট ঘরে গাদাগাদি করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। আমাদের জন্য আল্লাহছাড়া কেউ নাই। তাই যতো বিপদই আসুক না কেন, তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন। রসুলপুর বস্তির বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, করোনা সম্পর্কে পাশের ঘরের টিভিতে দেখছি। খালি মানুষ মরছে। আর আলাদা আলাদা জায়গায় থাকছে। একজনের অইলে আরেক জনেরও অয়। এ বস্তিতে সবার পাশাপাশি ঘর। প্রায় ঘরেই ৭/৮ জন করে মিলেমিশে থাকছে। এখন বস্তির মধ্যে একজনের অইলেই মোগো আল্লাহ ছাড়া কেউ বাঁচাইতে পারবে না। টাহা পয়সাও নাই যে ডাক্তার দেহামু। স্বেচ্ছাসেবী এনজিও আভাসের নির্বাহী পরিচালক রাহিমা সুলতানা কাজল বলেন, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি বস্তিতে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বস্তি এলাকার স্কুলগুলো বন্ধের আগে শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বস্তিতে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পণ্য বিতরণ করা হবে। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, করোনার প্রতিরোধে বস্তিবাসীসহ সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে জেলা প্রশাসন। লিফলেট বিতরণ, সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) না থাকলে নিয়মিত মোবাইলকোর্ট অভিযানসহ বেশি দামে মাস্ক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App