×

অর্থনীতি

একদিনেই বাতিল ৮৫০০ কোটি টাকার অর্ডার (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ০৮:২৫ পিএম

একদিনেই বাতিল ৮৫০০ কোটি টাকার অর্ডার (ভিডিও)

পোশাক খাতে ধস

আমদানি বাণিজ্যকরোনা প্রাদুর্ভাবের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ১৪টি খাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার মাঝে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখে পড়বে পোশাক খাতে। ইতোমধ্যে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে পোশাক খাতের ক্রেতারা। এ পর্যন্ত ১০৮৯ তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শিল্প-কলকারখানা আপাতত চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২২মার্চ) বিকেলে এক বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত না করতে ৪১ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়ে ই-মেইল দিয়েছে বিজিএমইএ। শিল্পমালিকরা বলছেন, বর্তমানে যে কাজ আছে তা নিয়ে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ কারখানা সচল রাখা যাবে। এছাড়া একই ছাদের নিচে অনেক শ্রমিক কাজ করায় রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকিও। এ পরিস্থিতিতে কারখানা চালু থাকবে নাকি বন্ধ করে দেয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। এ রকম মহাসংকটের মুখে গার্মেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হবে কিনা সে বিষয়ে বিজিএমইএ এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে গার্মেন্ট চালু রাখার প্রশ্নে অনেক উদ্যোক্তাই সংক্ষুব্ধ।

শীর্ষ স্থানীয় গার্মেন্ট মালিকদের কয়েকজন বলেন, ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্ব ‘লক ডাউন’ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। ফলে সৃষ্ট আর্থিক সংকটের কারণে গার্মেন্ট মালিকদের অনেকে সময়মতো মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এ অবস্থায় অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই এ বিষয়ে বিজিএমইএ-কে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আসতে হবে। বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করে কারখানাগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ভোরের কাগজকে বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি নজরদারি ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আশুলিয়া, গাজীপুর, ডিএমপি এলাকা ও নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গাকে ৪টি এলাকাভিত্তিক (জোনওয়াইজ) কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া করোনা বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানানো বা জানার জন্য বিজিএমইএ উত্তরা অফিসে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, আপাতত কারখানা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শ্রমিকরা যেন করোনায় আক্রান্ত না হয়, তার জন্য সব ধনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App